‘ল্যান্ডস্কেপ মোড’ নিয়ে পরীক্ষা চালাচ্ছে টিকটক

‘পোর্ট্রেইট’ মোডে ধারণ করা ভাইরাল ভিডিওর সুবাদে বিশ্বের সবচেয়ে ‘দ্রুত বর্ধনশীল’ সামাজিক অ্যাপের স্বীকৃতি পেয়েছে টিকটক।

প্রযুক্তি ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 16 Dec 2022, 12:17 PM
Updated : 16 Dec 2022, 12:17 PM

ভিডিও শেয়ারিং প্ল্যাটফর্ম টিকটক ‘ল্যান্ডস্কেপ মোড’ নিয়ে পরীক্ষা চালাচ্ছে, যাতে অংশ নিচ্ছেন প্ল্যাটফর্মটির হাতে গোণা কয়েকজন ব্যবহারকারী।

বাজার বিশেষজ্ঞদের মতে, ‘ল্যাডস্কেপ মোড’-এ নির্মিত ভিডিও ইউটিউবের মতো প্রতিদ্বন্দ্বী প্ল্যাটফর্মের বিপরীতে টিকে থাকার জন্য সহায়ক হবে।

‘পোর্ট্রেইট’ মোডে ধারণ করা ভাইরাল ভিডিওর সুবাদে বিশ্বের সবচেয়ে ‘দ্রুত বর্ধনশীল’ সামাজিক অ্যাপের স্বীকৃতি পেয়েছে টিকটক।

তবে অ্যাপটিকে জাতীয় নিরাপত্তার জন্য ঝুঁকি হিসেবে চিহ্নিত করে স্থানীয় বাজারে নিষিদ্ধ করার দাবি উঠেছে যুক্তরাষ্ট্র ও অস্ট্রেলিয়ায়।

এ বছরই নিজস্ব প্ল্যাটফর্মে সর্বোচ্চ ১০ মিনিট দীর্ঘ ভিডিও হোস্ট করার সুবিধা দেবে বলেছিল টিকটক। এর আগ পর্যন্ত নিজস্ব প্ল্যাটফর্মে সর্বোচ্চ তিন মিনিটের ভিডিও আপলোড করতে দিত চীনের বাইটড্যান্সের মালিকানাধীন এ কোম্পানি।

প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ পল ট্রিওলো বিবিসিকে বলেন, “বেশ কিছু দিন ধরে ইউটিউবের বাজারে ভাগ বসাতে চাইছে টিকটক।”

১০ মিনিটের ভিডিও আর কম বয়সী দর্শকদের কাছে ইউটিউবের চেয়ে বেশি গ্রহণযোগ্যতা প্ল্যাটফর্মটিকে সে লক্ষ্য অর্জনের পথ অনেকটা সহজ করে দিয়েছেন বলে মত ট্রিওলোর।

“এখন তাদের লক্ষ্য হল, যে প্রাপ্তবয়স্ক দর্শকরা তথ্য এবং শিক্ষণীয় ভিডিওর জন্য ইউটিউব ব্যবহার করেন, তাদের আকৃষ্ট করা; যেখানে ফুল স্ক্রিন মোডের চাহিদাই বেশি।”

টিকটক বনাম ইউটিউব

টিকটক অ্যাপে ল্যান্ডস্কেপ মোড যোগ হলে তা প্ল্যাটফর্মটিকে কনটেন্ট নির্মাতাদের কাছে আরও বেশি আকর্ষণীয় করে তুলবে বলে মনে করেন বাজার বিশ্লেষক ‘দ্য হার্ট অফ টেক’ প্রতিষ্ঠাতা ক্যারোলিনা মিলানেসি।  

“ইউটিউবের সাম্প্রতিক কার্যক্রমের সবচেয়ে বড় অংশ হলো ‘শর্টস’। আর টিকটক সম্ভবত ভয় পাচ্ছে যে তাদের প্ল্যাটফর্মের কনটেন্ট নির্মাতারা ইউটিউবমুখী হবেন,” বিবিসিকে বলেন তিনি।

অন্যদিকে ইউটিউব ও টিকটক উভয় প্ল্যাটফর্মই উন্নতি করতে থাকবে বলে আশাবাদী ইউনিভার্সিটি অফ সিডনির জ্যেষ্ঠ প্রভাষক জনাথন হাচিনসন।

“ইউটিউবের কনটেন্টের তৈরির মান তুলনামূলক ভালো, আর এই নান্দনিকতার সঙ্গে মানিয়ে নিতে ব্যবহারকারীদেরও কিছুটা বেশি সময় লাগে।”

“কিন্তু তুলনামূলক ছোট আর সহজে উপভোগ্য কনটেন্টের বেলায় টিকটক সবসময়ই পকেট থেকে ডিভাইস বের করেই ভিডিও ধারনের সেরা প্ল্যাটফর্ম হিসেবে নিজের জায়গা ধরে রাখবে।”

বিশ্বব্যাপী তরুণদের মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় প্ল্যাটফর্ম এখন টিকটক। অ্যাপটি চারশ কোটির বেশিবার ডাউনলোড করা হয়েছে বলে জানিয়েছে বিবিসি।

তবে টিকটক নিয়ে বিতর্কেরও কমতি নেই। যুক্তরাষ্ট্রের জন্য জাতীয় নিরাপত্তা ঝুঁকি হিসেবে চিহ্নিত করে অ্যাপটি নিষিদ্ধ করার লক্ষ্যে এ সপ্তাহেই একটি বিল তুলেছেন দেশটির জনপ্রতিনিধিরা।

সম্প্রতি ব্যবহারকারীর ডিভাইসে অ্যাপটি নিষিদ্ধ করেছে তাইওয়ান। এ ছাড়া অস্ট্রেলিয়াতেও টিকটক নিষিদ্ধের কথা উঠেছে। আর চীনের সঙ্গে সামরিক বিরোধের জেরে ভারত অ্যাপটি নিষিদ্ধ করেছে ২০২০ সালেই।