ইউক্রেইনে রাশিয়ার আগ্রাসনের পর মেটার বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মে কয়েক বছর ধরে আরটি ও অন্যান্য রুশ রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমে প্রবেশাধিকার সীমিত করেছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন।
Published : 17 Sep 2024, 03:38 PM
সম্প্রতি ‘বিদেশি হস্তক্ষেপের’ দায়ে আরটি’সহ অন্যান্য রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমকে নিষিদ্ধ করছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম জায়ান্ট মেটা।
ঘোষণায় ফেইসবুকের মালিক কোম্পানি মেটা বলেছে, নিজেদের বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম প্ল্যাটফর্ম থেকে আরটি রাশিয়া নিয়ন্ত্রিত অন্যান্য সংবাদমাধ্যমকে নিষিদ্ধ করছে তারা।
মেটার দাবি, প্রভাব বিস্তারের জন্য গোপন অভিযান চালায় এসব রুশ গণমাধ্যম।
“আমরা রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমের বিরুদ্ধে আমাদের চলমান প্রয়োগের পরিধি সতর্কতার সঙ্গে বাড়িয়েছি। রুসিয়া সেগোদনিয়া, আরটি ও সংশ্লিষ্ট অন্যান্য সংস্থাকে বিদেশি হস্তক্ষেপমূলক কার্যকলাপের জন্য নিষিদ্ধ করা হচ্ছে বিশ্বব্যাপী।”
ইউক্রেইনে রাশিয়ার আগ্রাসনের পর মেটার বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মে কয়েক বছর ধরে আরটি ও অন্যান্য রুশ রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমে প্রবেশাধিকার সীমিত করেছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন। আর এর পরই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম জায়ান্টটি এই পদক্ষেপ নিল বলে প্রতিবেদনে লিখেছে ব্রিটিশ দৈনিক ইন্ডিপেনডেন্ট।
মেটা বলছে, শিগগিরই এই সর্বশেষ নিষেধাজ্ঞা কার্যকর করা হবে ইনস্টাগ্রাম, হোয়াটসঅ্যাপ ও থ্রেডস’সহ মেটার বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম প্ল্যাটফর্মে।
২০২৪ সালের নির্বাচনের আগে মিথ্যা তথ্য ছড়ানোর অভিযোগে মার্কিন কর্মকর্তারা রাশিয়া সমর্থিত ৩২টি ওয়েবসাইট জব্দ করার পরে এই নিষেধাজ্ঞা আরোপ করল মেটা।
এ ছাড়াও এ মাসের শুরুতে আরটি’র দুই কর্মীকে অভিযুক্ত করেছে মার্কিন আইনপ্রণেতারা। তাদের দাবি, ডানপন্থী ঘরানার জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ইনফ্লুয়েন্সারদের তালিকাভুক্ত করার জন্য ১০ মিলিয়ন ডলারের প্রোপাগান্ডা স্কিম চালু করেছে তারা।
মার্কিন অ্যাটর্নি জেনারেল মেরিক গারল্যান্ড বলেছেন, পরোয়ানা ও সিলবিহীন অভিযোগপত্রে যেসব অভিযোগ উঠে এসেছে তা প্রমাণ করে যে, রাশিয়া “আমাদের দেশের নির্বাচনে হস্তক্ষেপ ও প্রভাব বিস্তারের জন্য গোপন প্রচারণায় লিপ্ত হয়েছে।”