বিশ্বের শীর্ষ চিপ নির্বাহীদের সঙ্গে বসবেন জাপানের প্রধানমন্ত্রী

“সেমিকন্ডাক্টর সরবরাহে স্থিতিস্থাপকতা কোনো একক দেশের মাধ্যমে অর্জন করা সম্ভব নয়। আর সমমনা দেশ ও অঞ্চলগুলোর একত্রে কাজ করাও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।”

প্রযুক্তি ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 17 May 2023, 12:40 PM
Updated : 17 May 2023, 12:40 PM

সেমিকন্ডাক্টর সেক্টরে বিশ্বের বিভিন্ন শীর্ষ কোম্পানির প্রধানদের সঙ্গে সাক্ষাতের পরিকল্পনা করছেন জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা।

দেশটির ‘চিফ কেবিনেট সেক্রেটারি’ হিরোকাজু মাতসুনো বলেন, নিজেদের মধ্যে বহুপাক্ষিক সহযোগিতা জোরদার করার উদ্দেশ্যে বৃহস্পতিবারের মধ্যেই তাদের সঙ্গে বৈঠক করতে চান কিশিদা।

"সেমিকন্ডাক্টর সরবরাহ চেইনের স্থিতিস্থাপকতা কোনো একক দেশের মাধ্যমে অর্জন করা সম্ভব নয়। আর সমমনা দেশ ও অঞ্চলগুলোর একত্রে কাজ করাও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।” --বুধবার এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন মাতসুনো।

আসন্ন বৈঠকটি এমন সময়ে ঘটতে যাচ্ছে, যখন চীনের চিপ উৎপাদন ও উন্নত প্রযুক্তির বিকাশ মোকাবেলায় যুক্তরাষ্ট্র ক্রমাগত নিজের মিত্রদের একত্রে কাজ করার আহ্বান জানাচ্ছে।

মাতসুনোর মন্তব্যের আগে ওই বৈঠকের পরিকল্পনা সংশ্লিষ্ট দুই ব্যক্তি রয়টার্সকে বলেন, জাপানে সক্রিয় বিনিয়োগ আনতে ও দেশটির বিভিন্ন কোম্পানির সঙ্গে জোটবদ্ধ হয়ে কাজ করার উদ্দেশ্যে ‘তাইওয়ান সেমিকন্ডাক্টর ম্যানুফ্যাকচারিং কোম্পানি (টিএসএমসি)সহ আরও ছয়টি চিপ নির্মাতা কোম্পানির নির্বাহীর সঙ্গে দেখা করবেন কিশিদা।

তারা আরও বলেন, স্যামসাং ইলেকট্রনিক্স, ইনটেল কর্পোরেশন, মাইক্রন টেকনোলজি ইনকর্পোরেটেড, অ্যাপ্লাইড ম্যাটেরিয়ালস ইনকর্পোরেটেড, ইন্টারন্যাশনাল মেশিনস কর্পোরেশন ও আইমেকের নির্বাহীরাও এতে অংশ নেবেন।

নিজেদের চিপ খাতকে পুনরুজ্জীবিত করার প্রচেষ্টা চালাচ্ছে জাপান। ৮০’র দশকের শেষে এই খাতে দেশটির বৈশ্বিক অংশীদারিত্ব ৫০ শতাংশ থেকে নেমে গিয়ে ঠেকেছিল কেবল ১০ শতাংশে।

এদিকে, জাপানের পশ্চিমাংশে বিশাল এক কারখানা বানাচ্ছে বিশ্বের সবচেয়ে বড় ঠিকাদারি চিপ নির্মাতা কোম্পানি টিএসএমসি। আর স্যামসাং দেশটিতে একটি ‘চিপ প্যাকেজিং টেস্ট লাইন’ স্থাপনের কথা বিবেচনা করছে বলে মার্চে জানিয়েছেন এই বিষয়টির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট পাঁচ ব্যক্তি।

পাশাপাশি, ইনটেল দেশটিতে একটি গবেষণা ও উন্নয়ন সুবিধাকেন্দ্র চালু করার দিকে নজর দিচ্ছে বলে বুধবার প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে জাপানী সংবাদপত্র ‘ইয়োমিউরি শিম্বুন’।