জনপ্রিয় অ্যানিমেটেড ফ্রাঞ্চাইজ পোকেমনের ওপর ভিত্তি করে বানানো ‘স্যাটায়ার’ গেইম পলওয়ার্ল্ড নিয়ে তদন্তে নামছেন পোকেমন কোম্পানির আইনজীবীরা।
নিজেদের ওয়েবসাইটে দেওয়া বিবৃতিতে পোকেমন বলেছে, ‘২০২৪ সালের জানুয়ারিতে প্রকাশিত গেইমটি’ সম্পর্কে তারা ওয়াকিবহাল। আর গেইমটিতে পোকেমন ফ্রাঞ্চাইজ সংশ্লিষ্ট কোনো মেধাস্বত্ব চুরি হলে এর বিপরীতে ‘কঠোর ব্যবস্থা’ নেওয়া হবে।
পোকেমন কোম্পানি যে গেইমিং প্ল্যাটফর্ম স্টিমের তালিকায় ক্রমাগত ওপরের দিকে উঠতে থাকা পলওয়ার্ল্ড গেইমটির প্রতি ইঙ্গিত দিয়েছে, তা স্পষ্ট। এর আগে ৩২ লাখ গেইমার একই সময়ে পাবজি গেইমটি খেলে যে রেকর্ড সৃষ্টি করেছিলেন, সেটাও এখন হুমকির মুখে।
এ পর্যন্ত স্টিম প্ল্যাটফর্মে পলওয়ার্ল্ড গেইমের বিক্রি ৮০ লাখ ছাড়িয়েছে। আর সম্প্রতি গেইমটির ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে একটি রোডম্যাপও প্রকাশ করেছে এর নির্মাতা পকেটপেয়ার।
এদিকে, পলওয়ার্ল্ডের ‘চুরি না করা মূল চরিত্রের’ দানবগুলোর ওপর নিনটেন্ডো কবে নাগাদ নিষেধাজ্ঞার খড়্গ নামিয়ে দেবে, তা নিয়ে অনেক গেইমারই শঙ্কিত। কারণ নিজস্ব আইপি সুরক্ষিত রাখার বিষয়ে বিশেষ পরিচিতি আছে জাপানের এ গেইমিং কোম্পানির।
তবে পলওয়ার্ল্ডের ‘পলস’ ও নিনটেন্ডো’র মনস্টারদের মধ্যে তুলনা করা নিয়ে তেমন আপত্তি নেই সামাজিক মাধ্যমের ভিডিও গেইমিং বিভাগগুলোর। এর মধ্যে রয়েছে গেইমের চরিত্র চুরি করার অভিযোগও। তবে এমন অভিযোগ সরাসরি নাকচ করে দিয়েছেন পকেটপেয়ার-এর সিইও।
ইউটিউবার ‘টোস্টেডশ্যুজ’-এর তৈরি একটি ‘মড ট্রেইলার’ এরই মধ্যে ইউটিউব থেকে নামিয়ে দিয়েছে কোম্পানিটি, যেখানে ‘পলস’কে অদলবদল করা হয়েছে বিভিন্ন পোকেমনের সঙ্গে। এ ছাড়া, তার মড ভিডিও বানানোর অভিজ্ঞতা নিয়ে প্রকাশিত একটি ব্যাখ্যামূলক ভিডিও সরিয়ে ফেলা হয়েছে।
“২০২৪ সালের জানুয়ারিতে এক কোম্পানির প্রকাশিত গেইম নিয়ে আমরা বেশ কিছু অভিযোগ পেয়েছি। গেইমটিতে আমরা পোকেমনের মেধাসত্ব বা সম্পত্তি ব্যবহারের অনুমতি দেইনি। আর বিষয়টি নিয়ে তদন্তে নামার পাশাপাশি এতে পোকেমন সংশ্লিষ্ট কোনো কপিরাইট লঙ্ঘন হলে আমরা এর বিপরীতে কঠোর ব্যবস্থা নেব,” বিবৃতিতে বলেছে পোকেমন কোম্পানি।