সাগরে ভাসমান প্লাস্টিক চিহ্নিত করতে ‘মেশিন লার্নিং কম্পিউটার’ ব্যবহার করছেন গবেষকরা। দূষণকারী পদার্থ চিহ্নিত করার পাশাপাশি দূষিত এলাকাগুলোর ম্যাপও তৈরি করছেন ব্রিটিশ বিজ্ঞানীরা।
‘প্লেমাথ মেরিন ল্যাবরেটরি (পিএমএল)’-এর গবেষকরা সাগরে ভাসমান আলাদা আলাদা প্লাস্টিক পদার্থ চিহ্নিত করছেন নৌকায় বসানো ক্যামেরা ব্যবহার করে।
বিবিসি জানিয়েছে, ক্যামেরার তোলা ছবি দেখে ভিন্ন ভিন্ন ধরনের ভাসমান প্লাস্টিক শ্রেণী অনুযায়ী চিহ্নিত করছে একটি ‘মেশিন লার্নিং কম্পিউটার’-এর কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা।
নিজস্ব ওয়েবসাইটে পিএমএল জানিয়েছে, ছবি বিশ্লেষণ করে প্লাস্টিক বর্জ্য চিহ্নিত করার বেলায় তাদের মেশিন লার্নিং কম্পিউটারটি ৯৫ শতাংশ সফল।
আর চিহ্নিত করা বর্জ্যের মধ্যে প্লাস্টিক ব্যাগ এবং বোতলগুলোকে সঠিক শ্রেণিভূক্ত করতে কম্পিউটারের এআই ৬৮ শতাংশ ক্ষেত্রে সফল।
সাগরে ভাসসান প্লাস্টিক বর্জ্য ‘বৈশ্বিক দূষণ সঙ্কটের একটি বড় অংশ’ হলেও এর ওপর নজর রাখা সাগরের বিশালতার কারণে একটি ‘বড় চ্যালেঞ্জ’ বলে মন্তব্য করেছে গবেষণা সংস্থাটি। এ ছাড়াও, ভাসমান প্লাস্টিক বর্জ্য চিহ্নিত করার প্রক্রিয়া ও কৌশলও বেশ জটিল বলে জানিয়েছে পিএমএল।
মেশিন লার্নিং কম্পিউটারের মাধ্যমে সংগৃহিত ডেটার ভিত্তিতে ভবিষ্যতে পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তে চালকবিহীন রোবট নৌকার মাধ্যমে ভাসমান প্লাস্টিক বর্জ্য চিহ্নিত করা সম্ভব হবে বলে আশা করছে গবেষণা সংস্থাটি।
নিজস্ব সাইটে পিএমএল জানিয়েছে, আলাদা আলাদা চারটি এলাকায় এ প্রযুক্তির কার্যক্ষমতা পরীক্ষা করে দেখেছেন গবেষকরা। সার্বিকভাবে এ প্রযুক্তির সাফল্যের হার ৮৬ শতাংশ।
গবেষকরা এ প্রযুক্তির সক্ষমতা আরও বাড়াতে কাজ করে যাবেন বলে জানিয়েছে পিএমএল। অদূর ভবিষ্যতে উপকূলীয় জলসীমা এবং বড় নদীগুলোতে ভাসমান প্লাস্টিক বর্জ্য চিহ্নিত করে পরিচ্ছন্নতা অভিযান চালানোর কাজে এই প্রযুক্তি ভূমিকা রাখবে বলে আশা করছেন গবেষকরা।