“আমাদের আইনের ধারা নিয়ে যদি কোনও সমস্যা থাকে বা উদ্বেগের বিষয় থাকে তবে দয়া করে সেটি ব্যাখ্যা করুন। দাদাগিরির মতো কোনো বিষয় নয় এটি।”
Published : 18 Feb 2025, 07:25 PM
ইউরোপ ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যকার সম্পর্কের অবনতি ঘটিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প– এমনই মন্তব্য করেছেন ইউরোপীয় ইউনিয়নের অ্যান্টিট্রাস্ট প্রধান তেরেসা রিবেরা।
ইইউ’র এই বাণিজ্য প্রতিযোগিতা প্রধান বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের মধ্যকার ‘আস্থাপূর্ণ সম্পর্ক’কে নষ্ট করেছেন ট্রাম্প। ব্রাসেলসের (বেলজিয়ামের রাজধানী) উচিত ওয়াশিংটনে যে পূর্বাভাস ও স্থিতিশীলতার অভাব রয়েছে তা নিশ্চিত করার দিকে নজর দেওয়া।
প্রেসিডেন্ট উরসুলা ভন ডার লিয়েনের পর ইউরোপীয় কমিশনের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ক্ষমতাধর কর্মী তেরেসা রিবেরা রয়টার্সকে বলেছেন, ইউরোপের উচিত হোয়াইট হাউসের সঙ্গে আলোচনা করা ও বাণিজ্য নিয়ে তাদের উদ্বেগের কথা শোনা। তবে মার্কিন আইনপ্রণেতারা যে আইনে অনুমোদন করেছেন তাতে পরিবর্তন আনার জন্য তাদের চাপ দেওয়া উচিত হবে না।
রাজনীতিতে ট্রাম্পের লেনদেনের দৃষ্টিভঙ্গির সমালোচনা করে সোমবার লন্ডনে এক সাক্ষাৎকারে রিবেরা বলেছেন, “আমাদের শক্তি ও নীতির ওপর অটল থাকতে হবে।
“আমাদের নরম হওয়া দরকার। মানবাধিকারের বিষয়ে আমরা আপস করতে পারি না বা ইউরোপের ঐক্যের বিষয়েও আমরা আপস করতে পারি না। এমনকি গণতন্ত্র ও মূল্যবোধের প্রসঙ্গেও আমরা আপস করতে পারি না।”
ট্রাম্প ও অন্যান্য সরকারি সদস্যরা ইউরোপীয় ইউনিয়নের সমালোচনা করে বলেছেন, অনেক বেশি নিয়মকানুন রয়েছে ইইউ’র। তারা মার্কিন বিভিন্ন প্রযুক্তি কোম্পানির ওপর কমিশনের আরোপিত জরিমানাকে ‘কর আরোপের’ একটি কৌশল হিসেবে বর্ণনা করেছেন বলে প্রতিবেদনে লিখেছে রয়টার্স।
গত সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্রের ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্স বলেছেন, নিজেদের ‘ডিজিটাল সার্ভিসেস অ্যাক্ট’-এর বিভিন্ন ধারা দিয়ে বাকস্বাধীনতা দমন করছে ইউরোপীয় ইউনিয়নের ‘কমিশাররা’, যেখানে সাময়িকভাবে অনলাইন প্ল্যাটফর্ম বা সার্চ ইঞ্জিনে প্রবেশাধিকার সীমিত করার ক্ষমতাও রয়েছে ইইউ’র হাতে।
জবাবে রিবেরা বলেছেন, “আমাদের আইনের ধারা নিয়ে যদি কোনও সমস্যা থাকে বা উদ্বেগের বিষয় থাকে তবে দয়া করে সেটি ব্যাখ্যা করুন। দাদাগিরির মতো কোনো বিষয় নয় এটি। আপনি চাইলে আলোচনার টেবিলে বসে কথা বলতে পারেন। মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্টের এ ধরনের কথার কোনও মানে হয় না।”