সংশোধিত আইনটি জাপানে বৃহস্পতিবার থেকে কার্যকর হচ্ছে বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে প্রযুক্তিবিষয়ক সাইট ভার্জ।
কারাদণ্ড ছাড়াও অর্থদণ্ডের আকার বাড়ানো হয়েছে নতুন সংশোধনে। সর্বোচ্চ তিন লাখ ইয়েন বা দুই হাজার দুইশ ডলার পর্যন্ত জরিমানা করা হতে পারে অভিযুক্তকে।
এর আগে, জাপানে ‘অনলাইন নিপীড়নের’ সর্বোচ্চ শাস্তি ছিল ৩০ দিনের কারাদণ্ড এবং সর্বোচ্চ ১০ হাজার ইয়েন বা ৭৫ ডলারের অর্থদণ্ড।
মতপ্রকাশের স্বাধীনতার ওপর আইনটি কোনো বিরূপ প্রভাব ফেলছে কি না, সেটি নির্ধারণে তিন বছর পরে আইনটি পুনর্বিবেচনা করে দেখার কথা জানিয়েছে ভার্জ। ‘সাইবারবুলিইং’ মোকাবেলায় আইনটি বড় ভূমিকা রাখবে বলে আশা করছেন এর সমর্থকরা।
তবে, জাপানের সংশোধিত আইনে ‘অনলাইন নিপীড়ন’-এর কোনো স্পষ্ট কোনো সংজ্ঞা নেই বলে সিএনএনকে জানিয়েছেন দেশটির আইনজীবী সেইহো চো। নতুন আইনে ‘নিপীড়ন’-এর মানে হিসেবে কোনো নির্দিষ্ট তথ্য ছাড়াই কাউকে ‘অবমাননা’ করার কথা উল্লেখ রয়েছে।
কিন্তু জাপানের আইন ‘অবমাননা’ এবং ‘মানহানি’ বিষয় দুটিকে আলাদা করে দেখছে। দেশটির আইন ‘নির্দিষ্ট তথ্যের দিকে ইঙ্গিত করে কারও অবমাননা’ করাকে মানহানি হিসেবে সংজ্ঞায়িত করেছে।
“এখন যদি কেউ অনলাইনে জাপানের রাষ্ট্রপ্রধানকে ইডিয়ট বলেন, তবে সংশোধিত আইনে সেটিও নিপীড়ন হিসেবে বিবেচিত হতে পারে,” বলেন চো।
ভার্জ জানিয়েছে, অনলাইনে হেনস্তার মুখে রিয়ালিটি টেলিভিশন তারকা হানা কিমুরা আত্মহত্যা করার পর ‘সাইবারবুলিইং’ বন্ধে তৎপরতা বাড়িয়েছেন জাপানের কর্মকর্তারা।