কয়েন মেট্রিক্স থেকে পাওয়া তথ্য অনুসারে বিটকয়েন শনিবার প্রায় চার শতাংশ কমে ৩৩ হাজার ৭৫৫.৫৭ ডলারে দাঁড়িয়েছে, অন্যদিকে ইথার সাত শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে দুই হাজার দুইশ’ ৩৯.০৮ ডলারে। ছয় মাসের মধ্যে দুটি মুদ্রাই তাদের সর্বনিম্ন মূল্যে এসে ঠেকেছে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনবিসি।
দুটি মুদ্রাই তাদের সর্বকালের সর্বোচ্চ মূল্যমানের অর্ধেকে এসে ঠেকেছে।
ক্রিপ্টো মুদ্রার এই বিশাল পতনে বিশেষজ্ঞরা কয়েকটি বিষয়ের দিকে আঙুল তুলছেন।
রোববার মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তাদের সকল কূটনীতিককে তাদের পরিবারসহ ইউক্রেইন ত্যাগ করার নির্দেশ দিয়েছে। “এর মানে হচ্ছে, রাশিয়া ইউক্রেইন আক্রমণ করবে বলে দৃঢ় আশঙ্কা করছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র” - উল্লেখ রয়েছে রয়টার্সের প্রতিবেদনে।
“রাষ্ট্রীয় সংঘাতের আশঙ্কায় শেয়ার বাজারে আঘাত এসেছে আর অন্যদিকে চাঙ্গা হয়েছে তেল আর মার্কিন ডলারের বাজার।”
“এর সঙ্গে যোগ হয়েছে মার্কিন ফেডারেল রিজার্ভের দুই দিন ধরে চলা বৈঠক। জোর গুজব চলছে, মার্কিন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সঙ্গে মিলে সংস্থাটি বাজার তারল্যের দিকে হাত বাড়াবে, যার ফলে শেয়ার বাজার চাঙ্গা হয়েছে।” - প্রতিবেদনে বলেছে রয়টার্স।
বিনিয়োগকারীরা মার্কিন ফেডারেল রিজার্ভ এবং উচ্চতর সুদের হার থেকে কঠোর আর্থিক নীতির জন্য প্রস্তুত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে প্রযুক্তি স্টকের মতো ঝুঁকিসম্পদ বিক্রি শুরু করছে।
“বিটকয়েন এবং ক্রিপ্টো সম্পদ নিজেদের বৈশিষ্ট্যর কারণেই অনেক বেশি অস্থিতিশীল আচরণ করছে। বর্তমান পরিস্থিতিতে আমরা সম্ভবত ৩০-৩২ হাজার ডলারের পরীক্ষা করতে পারি।” - এক লিখিত বার্তায় বলেন লুনো’র কর্পোরেট ডেভেলপমেন্ট এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রসারণ বিভাগের ভাইস প্রেসিডেন্ট বিজয় আয়ার।
“যদি বিটকয়েন এক সপ্তাহের মতো সময় এর মূল্য ৩০ হাজার ডলারের ওপর ধরে রাখতে পারে তবে সেখানেই একটি মূল্যভিত্তি তৈরি হতে পারে যেখান থেকে বাজার ক্রমশ আবার ওপরের দিকে যাবে।”
তিনি আরও যোগ করেন, “তবে স্পেকট্রাম জুড়ে ভরসার অভাবে বাজারে স্থিতিশীলতা ফিরতে কিছুটা সময় আসতে পারে।”