বৃহস্পতিবার ডরসি টুইট করেছেন, “আমরা আনুষ্ঠানিকভাবে একটি উন্মুক্ত বিটকয়েন মাইনিং ব্যবস্থা নির্মাণ করছি।” ডরসির টুইটের নিচেই মাইনিং ব্যবস্থাটি নিয়ে ব্লকের লক্ষ্য সম্পর্কে বিস্তারিত জানিয়েছেন প্রতিষ্ঠানটির হার্ডওয়্যার বিভাগের মহাব্যবস্থাপক থমাস টেম্পলটন। সহজলভ্য, নির্ভরযোগ্য, কর্মক্ষম এবং হ্যাশরেট বিবেচনায় বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী মাইনিং ব্যবস্থা নির্মাণের কথা বলছে ব্লক।
মাইনিং ব্যবস্থাকে বিকেন্দ্রিক করাই ব্লকের সার্বিক লক্ষ্য বলে জানিয়েছে প্রযুক্তিবিষয়ক সাইট ভার্জ। সার্বিকভাবে বিটকয়েন নেটওয়ার্ককে আরো স্থিতিশীল করতে চাইছে প্রতিষ্ঠানটি। বিটকয়েনের মূল্য বৃদ্ধির পাশাপাশি আরো কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে ক্রিপ্টোকারেন্সিটির মাইনিং। এমন পরিস্থিতিতে পুরো আর্থিক ব্যবস্থাটি অল্প কিছু মাইনারের কার্যক্রমের মধ্যে কেন্দ্রিভূত হবে, এমন আশঙ্কা করছেন অনেকেই।
এমন পরিস্থিতিতে মাইনিং ব্যবস্থার বিকেন্দ্রিকরণ হল “সম্পূর্ণ বিকেন্দ্রিক এবং অনুমতিবিহীন ভবিষ্যত গড়ার দীর্ঘমেয়াদী প্রয়োজনীয়তা,” বলে মন্তব্য করেছেন টেম্পলটন। তবে, বরাবরই বিদ্যুৎ খরচের কারণে সমালোচিত হয়েছে বিটকয়েন মাইনিং ব্যবস্থা; একই আশঙ্কা পিছু ছাড়ছে না ব্লকের পরিকল্পনার।
টেম্পলটনের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, এএসআইসি (একটি নির্দিষ্ট কাজের জন্য নির্মিত কম্পিউটার চিপ) উৎপাদনে আপত্তি নেই ব্লকের। তবে, নির্মাতা দলে অন্তর্ভূক্ত থাকবেন সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়াররাও।
বিটকয়েন মাইনিং ব্যবস্থাকে “যে কোনো মেশিন একটি পাওয়ার সোর্সে জুড়ে দেওয়ার মতো” সহজ করতে চান– আগেই বলেছিলেন ডরসি।
বিটকয়েন মালিকানাকে আরো মূলধারায় আনতে গেল বছরের জুলাই মাসেই ‘বিটকয়েন হার্ডওয়্যার ওয়ালেট’ নির্মাণের ঘোষণা দিয়েছিল ব্লক (তৎকালীন স্কয়্যার)। অতীতে নিজস্ব ‘ক্যাশ অ্যাপ’-এর মাধ্যমে সেবাগ্রাহকদের বিটকয়েন বেচা-কেনার সুযোগও দিয়েছে স্কয়্যার।
দীর্ঘদিন ধরেই বিটকয়েন ব্যবস্থার সমর্থন করে আসছেন ডরসি। নিজের টুইটার অ্যাকাউন্টেও লিখে রেখেছেন ‘#Bitcoin’। ব্লক বিটকয়েন মাইনিং ব্যবস্থা বানাবে– এই আশার কথা জানিয়েছিলেন ২০২১ সালের অক্টোবর মাসেই।