“এক্সবক্স সিরিজ এক্স/এস উৎপাদনে গুরুত্ব দিতেই আমরা ২০২০ সালের শেষ নাগাদ সকল এক্সবক্স ওয়ান কনসোলের উৎপাদন বন্ধ করে দিয়েছি”-- প্রযুক্তিবিষয়ক সাইট ভার্জকে পাঠানো এক বিবৃতিতে বলেছেন এক্সবক্স কনসোল বাজারজাতকরণ বিভাগের জ্যেষ্ঠ পরিচালক সিন্ডি ওয়াকার।
সম্প্রতি বাণিজ্য প্রকাশনা ব্লুমবার্গের এক প্রতিবেদনে উঠে এসেছে, প্রথমে ২০২১ সালের শেষ নাগাদ প্লেস্টেশন৪ কনসোলের উৎপাদন বন্ধ করে দেওয়ার পরিকল্পনা করেছিল সনি। কিন্তু সেই পরিকল্পনা থেকে সরে এসেছে সনি, ২০২২ সালে এসেও প্রায় ১০ লাখ পিএস৪ কনসোল উৎপাদন করবে প্রতিষ্ঠানটি।
গেইমিং কনসোল বাজারের শীর্ষ দুই প্রতিদ্বন্দ্বী এক্সবক্স ও প্লেস্টেশন। সনি পুরনো কনসোলের উৎপাদন অব্যাহত রাখলেও, মাইক্রোসফট উৎপাদন বন্ধ করে দেওয়ায় বিষয়টি নানা প্রশ্নের জন্ম দিচ্ছে সংশ্লিষ্টদের মনে।
বাজারে এক্সবক্স সিরিজ এক্স এবং পিসএ৫ কনসোলের চাহিদায় এখনো ভাটা পড়েনি বলে জানিয়েছে ভার্জ। এর মধ্যে বাজারে পিএস৪-এর যথেষ্ট চাহিদা আছে বলে জানিয়েছে সনি।
মাইক্রোসফটও বাজারের চাহিদা অনুযায়ী ২৯৯ ডলারের এক্সবক্স সিরিজ এস সরবরাহ অব্যাহত রেখেছে বলে জানিয়েছে ভার্জ। ২০২০ সালে এক্সবক্স এক্স/এস উন্মোচনের পর এক্সবক্স প্রধান ফিল স্পেন্সার বলেছিলেন, সিরিজ এসের চেয়ে সংখ্যায় বেশি সিরিজ এক্স কনসোল বানিয়েছে মাইক্রোসফট, তবে শেষ জয়টা হয়তো সাশ্রয়ী দামের সিরিজ এসেরই হবে।
“সিরিজ এক্সের জন্যে চিপ বানানোর পরিবর্তে আমরা আরো বেশি সিরিজ এস চিপ বানাতে পারি,” বলেছিলেন স্পেন্সার। আর এ কারণেই এখনও বাজারে সিরিজ এস-এর ঘাটতি নেই এবং মাইক্রোসফটও চুপিসারে ওয়ান এস-এর উৎপাদন বন্ধ করে দিয়েছে বলে মন্তব্য ভার্জের।