টেলিগ্রাম অ্যাপ নিষিদ্ধ করতে চান জার্মান রাজনীতিবিদ

উগ্রপন্থী কন্টেন্ট ট্র্যাক করতে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে সহযোগিতা না করলে মেসেজিং অ্যাপ ‘টেলিগ্রাম’ অ্যাপল ও গুগলের অ্যাপস্টোর থেকে সরিয়ে দেওয়া উচিত বলে মন্তব্য করেছেন জার্মানির এক রাজনীতিবিদ।

প্রযুক্তি ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 15 Dec 2021, 09:39 AM
Updated : 15 Dec 2021, 09:39 AM

জার্মানিতে করোনা ভাইরাসের ভ্যাকসিন বিরোধী প্রচারণায় ব্যবহারের জেরে টেলিগ্রাম অ্যাপটির উপর খেপেছেন অনেকেই। ভ্যাকসিন বিরোধী নানা কন্টেন্ট আদান-প্রদান এবং জনসমক্ষে প্রতিবাদ সংগঠনের কাজে অ্যাপটি ব্যবহার করছেন ভ্যাকসিন বিরোধীর ষড়যন্ত্র তাত্ত্বিকরা।

কিন্তু টেলিগ্রাম কর্তৃপক্ষ বলছে ‘সরকারি সেন্সরশিপের’ সামনে মাথা নোয়াতে জানেন না তারা। অধিকারকর্মী আর প্রতিবাদকারীদের কাছে আলাদা কদর আছে অ্যাপটির। বিশেষ করে ফেইসবুকের মতো অন্যান্য প্ল্যাটফর্মগুলো বিভিন্ন দেশের সরকারের চাপের মুখে বিদ্বেষপূর্ণ বক্তব্য, মিথ্যাচার ও ষড়যন্ত্র তত্ত্ব মোকাবেলায় তৎপরতা বাড়ানোয় কদর বেড়েছে টেলিগ্রামের।

নভেম্বর মাসেই স্যাক্সনির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বাসস্থানের সামনে মশাল জ্বালিয়ে হাজির হয়েছিলেন একদল প্রতিবাদকারী। রয়টার্স বলছে, স্বরাস্ট্রমন্ত্রীর প্রতি সহিংসতার হুমকি হিসেবেই বিবেচনা করা হচ্ছে ওই ঘটনাকে।

“টেলিগ্রামের গ্রুপ ও চ্যানেলগুলোতে যা হচ্ছে তা অ্যাপল ও গুগলের নীতিমালা লঙ্ঘন করে, তারাই নিজেদের স্টোরে অ্যাপটি রেখেছে।”-- বলেছেন লোয়ার স্যাক্সনির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বোরিস পিস্টোরিয়াস।

“আমাদের জরুরীভিত্তিতে তাদের সঙ্গে কথা বলতে হবে এবং টেলিগ্রাম বাজারজাতকরণ বন্ধ করতে রাজি করাতে হবে তাদের।”-- যোগ করেন তিনি। 

এই প্রসঙ্গে রয়টার্সকে তাৎক্ষণিক কোনো প্রতিক্রিয়া জানায়নি টেলিগ্রাম কর্তৃপক্ষ।

সামাজিক মাধ্যমের বেলায় বিশ্বের সবচেয়ে কঠোর নীতিমালাগুলোর কয়েকটি রয়েছে জার্মানীতে। প্ল্যাটফর্মে উগ্রপন্থী কন্টেন্টের উপস্থিতি থাকলে সে বিষয়ে দ্রুত পদেক্ষেপ নিতে বাধ্য প্রতিষ্ঠানগুলো। 

কিন্তু এক্ষেত্রে জার্মান সরকারকে কোনো সহযোগিতা করছে না টেলিগ্রাম। অ্যাপটির নিজস্ব সাইটে দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, শুরুটা সেইন্ট পিটার্সবার্গে হলেও প্রতিষ্ঠানটি বর্তমানে দুবাই থেকে পরিচালিত হচ্ছে। জার্মানীর বিচার মন্ত্রণালয় থেকে উগ্রপন্থী কন্টেন্টের লেখকদের চিহ্নিত করতে একাধিকবার সাহায্যের আবেদন পেলেও তাতে সারা দেয়নি টেলিগ্রাম কর্তৃপক্ষ।

মূল ধারার সামাজিক মাধ্যমের বিকল্প হিসেবে নিজস্ব অ্যাপ বাজারজাত করে আসছে টেলিগ্রাম কর্তৃপক্ষ। বেলারুশ এবং রাশিয়ার মতো দেশগুলোতে কর্তৃত্ববাদী সরকার বিরোধী অধিকারকর্মীদের কাছেও জনপ্রিয়তা আছে অ্যাপটির।