শুধু সরবরাহ নয়, আইফোন ১৩’র ‘দুর্বল’ চাহিদা নিয়েও বিপাকে অ্যাপল

বৈশ্বিক চিপ সঙ্কটের কারণে শুধু নতুন আইফোনের যন্ত্রাংশের সরবরাহ নিয়ে নয়, সম্ভবত আইফোন ১৩’র দিন দিন কমে আসা চাহিদা নিয়েও বিপাকে পড়েছে অ্যাপল। নতুন আইফোনের চাহিদা কমতে থাকায় সরবরাহকারীদের কাছ থেকে আগের প্রত্যাশা অনুযায়ী যন্ত্রাংশ নাও কেনা হতে পারে-- এমন ইঙ্গিত দিয়েছে মার্কিট টেক জায়ান্ট প্রতিষ্ঠানটি।

প্রযুক্তি ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 2 Dec 2021, 10:05 AM
Updated : 2 Dec 2021, 10:05 AM

আইফোন নির্মাতা প্রতিষ্ঠানটি সম্ভবত দুমুখো বিপাকে পড়েছে বলে জানিয়েছে ব্লুমবার্গ। ইতোমধ্যেই চলতি বছরে নতুন আইফোন উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নয় কোটি ইউনিট থেকে আট কোটি ইউনিটে নামিয়ে এনেছে অ্যাপল। বলা হচ্ছিল, ২০২২ সালে এই ঘাটতি পুষিয়ে নেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে অ্যাপলের।

কিন্তু, সেই পরিকল্পনার বাস্তবায়ন নাও হতে পারে বলে সম্প্রতি নিজস্ব উৎপাদকদের জানিয়েছে অ্যাপল। এমনকি, যন্ত্রাংশ নির্মাতাদের কাছ থেকে যে পরিমাণ যন্ত্রাংশ ক্রয়ের প্রাথমিক হিসাব ছিল, নতুন আইফোনের চাহিদা কমতে থাকায় সেই প্রত্যাশা পূরণ নাও হতে পারে বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে প্রযুক্তি বিষয়ক সাইট ভার্জ।

প্রযুক্তি শিল্পের আর দশটি প্রতিষ্ঠানের মতো বৈশ্বিক চিপ সঙ্কটের ভুক্তভোগী হয়েছে অ্যাপল। সম্প্রতি প্রতিষ্ঠানটির প্রধান টিম কুক জানান, চিপ সঙ্কট আর দক্ষিণপূর্ব এশিয়ায় অবস্থিত কারখানাগুলোতে কোভিডের প্রাদুর্ভাবে আগের প্রান্তিকেই অ্যাপলের আয় কমেছে আনুমানিক ছয়শ’ কোটি ডলার। চলতি প্রান্তিকের আয়ের হিসাবে আরও বড় ধাক্কার আশঙ্কা করছে অ্যাপল।

ব্লুমবার্গের প্রতিবেদন সঠিক হলে তার মানে দাঁড়ায়, অ্যাপল আইফোন ১৩ বিক্রির যতোটা প্রত্যাশা করেছিল, বাজারে সেই অনুযায়ী চাহিদা নেই পণ্যটির। চাহিদা বাড়বে-- এমনটা ভেবেই ২০২১ সালে নয় কোটি আইফোন ১৩ উৎপাদনের পরিকল্পনা করেছিল অ্যাপল। এর আগের বছরগুলোতে উন্মোচনের পর কম-বেশি সাত কোটি ৫০ লাখ ইউনিট করে নতুন আইফোন নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।