প্রযুক্তিবিষয়ক সাইট এনগ্যাজেটের প্রতিবেদনে বলছে, অনেক কমেছে এমন নয়, তুলনামূলক কিছুটা কমেছে অনলাইন বেচাকেনা। ২০২০ সালে ব্ল্যাক ফ্রাইডেতে অনলাইনে কেনাকাটা হয়েছিল নয়শ’ কোটি ডলারের। এবার হয়েছে আটশ’ ৯০ কোটি ডলারের।
গোটা বিষয়টিকে অবশ্য ‘ট্রেন্ড’ পরিবর্তন হিসেবেই দেখছে মার্কিন প্রতিষ্ঠান অ্যাডোবি। প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানটি বলছে, ইন্টারনেটে অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া বিভিন্ন মূল্যছাড়ের সুযোগ নিয়েছেন ক্রেতারা। একদিনে সব কেনার বদলে পুরো সপ্তাহ জুড়ে কেনাকাটা করাটাই পছন্দ তাদের।
সাইবার মানডে-তে খরচ করার হার আরও বাড়বে বলে অনুমান করছে অ্যাডোবি। প্রতিষ্ঠানটি বলছে, এক হাজার ২০ কোটি ডলার থেকে এক হাজার একশ’ ৩০ কোটি ডলার খরচ করা হতে পারে ওই সময়টিতে।
ব্ল্যাক ফ্রাইডে উপলক্ষ্যে ক্রেতারা যে পণ্যগুলো বেশি কিনেছেন, সপ্তাহের শেষে সেটাও বদলে গিয়েছিল বলে জানিয়েছে এনগ্যাজেট। শুক্রবারে ‘ইন্সট্যান্ট পট’, ‘এয়ার ফ্রায়ার’ এবং খেলনার মতো সামগ্রী বেশি বিক্রি হলেও, শনিবারে এসে বেশি বিক্রিত পণ্যের তালিকায় শীর্ষে চলে আসে এয়ারপড, স্বল্পমূল্যের আইপ্যাড, মেটা কোয়েস্ট ২ এবং স্যামসাং, টিসিএল ও ভিজিয়ো’র টিভির মতো প্রযুক্তি পণ্যগুলো।
গেইম বিক্রির তালিকায় ছিল ‘জাস্ট ড্যান্স ২০২২’ এবং গেল বছরের ‘স্পাইডার-ম্যান: মাইলস মোরালেস’।
ফোন থেকে চূড়ান্ত কেনাকাটা করতে ক্রেতাদের যে সমস্যা হয়নি, তা-ও নজরে এসেছে অ্যাডোবি’র। ৬২.২ শতাংশ ক্রেতা পণ্য মোবাইলে ব্রাউজ করলেও কেনাকাটার কাজটি কম্পিউটার থেকে করেছেন। তারপরও গোটা অনলাইন বিক্রির ৪৪.৪ শতাংশ হয়েছে মোবাইল থেকে, যা হিসেবে ২০২০-এর তুলনায় ১০.৬ শতাংশ বেশি।