বৃহস্পতিবার রাজধানী ঢাকার একটি হোটেলে আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলাদেশের গ্রাহকদের জন্য ‘বাংলাদেশে তৈরি’ নোকিয়া ফোনের যাত্রা শুরুর ঘোষণা দেয় প্রতিষ্ঠানটি।
“মোবাইল ফোন যুগের শুরুতে সম্ভবত দেশে এমন কোনো পরিবার ছিলো না যেখানে অন্তত একটি নোকিয়া ফোন ছিল না।” উন্মোচন অনুষ্ঠানে বললেন ইউনিয়ন গ্রুপের পরিচালক আলভী রানা।
“আমরা আশা করি স্মার্টফোনে ফের সেই দিন দেখবো মেইড ইন বাংলাদেশ নোকিয়া ফোনের হাত ধরে।” - বলেন তিনি।
দেশি প্রতিষ্ঠান ইউনিয়ন গ্রুপ এবং যুক্তরাজ্যভিত্তিক কোম্পানি ভাইব্রেন্ট সফটওয়্যারের সমন্ময়ে ‘ভাইব্রেন্ট সফটওয়্যার (বাংলাদেশ) লিমিটেড’-এর কারখানায় তৈরি হচ্ছে ফোন দুটি। এর আগে একই কারখানায় নোকিয়া ৩.৪ ফোনের কয়েক হাজার ইউনিট তৈরি হলেও এবারই প্রথমবারের মতো মডেল দু’টির পূর্ণ চাহিদা দেশে তৈরি ফোনেই মেটাচ্ছে নোকিয়া।
উন্মোচন অনুষ্ঠানে এইচএমডি গ্লোবাল-এর প্যান এশিয়া অংশের মহাব্যবস্থাপক রাভি কুনওয়ার বলেন, “আজকে আমাদের জন্য স্মরণীয় একটি দিন।”
কী আছে ফোন দুটিতে?
নতুন উন্মোচিত জি-১০ এবং জি-২০ দুটি ফোনই তিন দিনের ব্যাটারি ব্যাকআপ দিতে সক্ষম বলে জানিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি, যা এখন পর্যন্ত নোকিয়া স্মার্টফোনে সর্বোচ্চ। নোকিয়ার জি-২০ সেটে তিন বছর পর্যন্ত মাসিক প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা এবং দুই বছর পর্যন্ত অপারেটিং সিস্টেম আপডেট করার কথাও বলেছে প্রতিষ্ঠানটি।
আঙ্গুলের ছাপ ও ফেইস রিকগনিশনের মাধ্যমে ফোন আনলকের অপশনসহ দুটি ফোনের পর্দাই ৬.৫ ইঞ্চি টিয়ারড্রপ ডিসপ্লে।
ওজো সারাউন্ড অডিওযুক্ত জি-২০ ফোনে ৪৮ মেগাপিক্সেলের ওয়াইড এঙ্গেল ব্যাক ক্যামেরাসহ রয়েছে চারটি ব্যাক ক্যামেরা। নোকিয়া জি-১০ মোবাইলে আছে তিনটি ব্যাক ক্যামেরা আর কৃত্রিম বুদ্ধিমত্বা সম্বলিত শুটিং মোড।
ইউনিয়ন গ্রুপের পরিচালক আলভী রানা বলেন, “নোকিয়ার মতো গ্লোবাল একটি ব্র্যান্ডের অংশীদার হওয়া আমাদের জন্য খুবই সম্মানজনক। এইচ এমডি গ্লোবালের নির্দেশনায় ইউরোপীয় মানে আমরা কারখানা স্থাপন করেছি। নিশ্চিতভাবেই বাংলাদেশে তৈরি হ্যান্ডসেট ভোক্তারা সাশ্রয়ী মূল্যে পাবে এবং এদেশের স্মার্টফোন মার্কেটে নোকিয়ার মার্কেট শেয়ার বাড়াতে সাহায্য করবে।”
শুরুতে কারখানায় প্রতিদিন ৩০০ ফোন সংযোজন করার কথা জানিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। দু’টি মোড়কজাতকরণ ও চারটি সংযোজনসহ মোট ছয়টি উৎপাদন লাইন আছে কারখানাটিতে। প্রয়োজনীয় সকল অবকাঠামো ও নিজস্ব পরীক্ষাগারসহ কারখানাটিতে প্রায় ২০০ জন কর্মী রয়েছে।
স্থানীয়ভাবে তৈরি করা নোকিয়া স্মার্টফোন আমদানিকৃত ফোনের তুলনায় ৩০শতাংশ কম দামে পাওয়া যাবে।