ফেইসবুক ফেইশল রিকগনিশন প্রযুক্তি বন্ধের ঘোষণা দিয়েছে মঙ্গলবার। তবে রয়টার্স বলছে, ফেইসবুকের এই হঠাৎ ঘোষণার পেছনের মূল কারণ হচ্ছে গোপনতা এবং নিরাপত্তা প্রশ্নে ফেইসবুকের প্রশ্নবিদ্ধ ভূমিকা নিয়ে আইনপ্রণেতা ও নিয়ন্ত্রকদের সাম্প্রতিক তদন্ত ও অনুসন্ধান। অধিকারকর্মীরা ফেইসবুকের ফেইশল রিকগনিশন প্রযুক্তির ব্যবহারকে সাধারণ গ্রাহকদের গোপনতার জন্য বড় ঝুঁকি হিসেবে আখ্যা দিয়ে আসছেন অনেক দিন ধরেই।
এই প্রসঙ্গে হাউগেন বলেন, “আমি সরকারি নজরদারি জোড়ালো ভাবে উৎসাহিত করছি।”
“তারা যখন বলে যে আমরা একটা জিনিস বাদ দিয়েছি, তারা আসলে কী বোঝায়”-- প্রশ্ন তুলেছেন হাউগেন।“এই কাজগুলো কীভাবে হচ্ছে সেটি নিয়ে আরও স্বচ্ছতা থাকতে হবে যেন এটা নিশ্চিত করা যায় যে তারা আসলেও প্রতিশ্রুতি রাখছে।”--যোগ করেন তিনি।
শিগগিরই জার্মানির বিচার মন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে বসবেন হাউগেন। ফেইসবুকের বিপুল পরিমাণ অভ্যন্তরীণ নথিপত্র ও গবেষণা প্রতিবেদন ফাঁস করেছেন ফ্রান্সেস হাউগেন। মার্কিন সিনেট ও যুক্তরাজ্যের পার্লামেন্টের সদস্যদের সামনে ফেইসবুকের বক্তব্য ও কর্মকাণ্ডের অসামঞ্জস্যতা নিয়ে সাক্ষ্য দেওয়ার পর এবার ইউরোপের শীর্ষ আইনপ্রণেতাদের সঙ্গে আলোচনায় বসছেন তিনি।
প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলোর উপর ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন এবং ব্রিটেনের কড়া নীতিমালা যুক্তরাষ্ট্রের আইন নির্ভর নীতিমালার থেকে বেশি কার্যকর বলেও মন্তব্য করেন তিনি। ইংরেজি বাদে অন্য ভাষার কন্টেন্টের উপর নজরদারি বাড়াতে ফেইসবুককে বাধ্য করার পেছনে ইউরোপের বড় ভূমিকা রয়েছে বলে উঠে এসেছে রয়টার্সের প্রতিবেদনে।
৬ জানুয়ারিতে মার্কিন ক্যাপিটল হিলে দাঙ্গার পর ফেইসবুক ইংরেজি ভাষার কন্টেন্টের উপর নজরদারি বাড়ানোর দাবি করলেও মিয়ানমার, গ্রিস ও আফ্রিকায় মিথ্যাচার ও বিদ্বেষপূর্ণ কন্টেন্টে মোকাবেলায় ব্যর্থতার অভিযোগে সমালোচিত হয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।
“ পৃথিবীর যেসব অঞ্চলে মানুষ ইংরেজিতে কথা বলতে পারেন না ইউরোপের মতো ভাষাগত বৈচিত্র্যময় ভূখণ্ড তাদের জন্য পথপ্রদর্শক হতে পারবে। বাস্তবতা হচ্ছে নিরাপত্তা খাতে ইংরেজি বাদে সকল ভাষার ক্ষেত্রেই প্রয়োজনের চেয়ে অনেক কম বিনিয়োগ করে ফেইসবুক।”-- রয়টার্সকে বলেন হাউগেন।