ফেইসবুক ক্রিপ্টোকারেন্সি বাজারে প্রবেশের লক্ষ্যে কাজ করছে বছর দুয়েক ধরে। তবে প্রতিষ্ঠানটি ‘নোভি’ নিয়ে পাইলট প্রকল্প শুরু করেছে মঙ্গলবার। বার্তাসংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, প্রথম দিনেই প্রকল্পটি নিয়ে আপত্তি তুলেছেন যুক্তরাষ্ট্রের ডেমোক্রেটিক পার্টির সিনেটর ব্রায়ান শাটজ, শেরড ব্রাউন, রিচার্ড ব্লুমেন্থাল, এলিজাবেথ ওয়ারেন এবং টিনা স্মিথ।
আপত্তি জানিয়ে ফেইসবুক প্রধান মার্ক জাকারবার্গের উদ্দেশ্যে লেখা চিঠিতে সিনেটররা বলেছেন, “ফেইসবুক আবারও আগ্রাসী মনোভাব নিয়ে ডিজিটাল মুদ্রা পরিকল্পনা এগিয়ে নিচ্ছে। ওই পরিকল্পনা বর্তমান আর্থিক নীতিমালার সঙ্গে অসামঞ্জস্যপূর্ণ হলেও ইতোমধ্যেই একটি লেনদেন অবকাঠামো নেটওয়ার্কের পাইলট প্রকল্প চালু করেছে।”
“ঝুঁকি মোকাবেলা ও ব্যবহারকারীদের নিরাপদ রাখতে ফেইসবুকের সক্ষমতা অপর্যাপ্ত প্রমাণিত হওয়ায়, একটি লেনদেন কাঠামো অথবা ডিজিটাল মুদ্রা ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে ফেইসবুক বিশ্বাসযোগ্য নয়।”
রয়টার্সের প্রতিবেদন বলছে, ক্রিপ্টোকারেন্সি ওয়ালেট নিয়েও ফেইসবুক যে আইনপ্রণেতা ও নিয়ন্ত্রকদদের কঠোর সমালোচনার মুখোমুখি হতে যাচ্ছে, তারই পরিষ্কার ইঙ্গিত সিনেটরদের লেখা চিঠিটি। অ্যান্টিট্রাস্টসহ বিভিন্ন বিষয়ে ফেইসবুকের আন্তরিকতা ও কর্মকাণ্ড নিয়ে আগেও প্রশ্ন তুলেছেন মার্কিন সিনেটররা।
সিনেটরদের চিঠির পরিপ্রেক্ষিতে এক নোভি মুখপাত্র বলেছেন, “কমিটির চিঠির উত্তর দিতে আমরা আগ্রহ নিয়েই অপেক্ষা করছি।”
ই-কমার্স ও বৈশ্বিক লেনদেন খাতে ব্যবসা প্রসারের লক্ষ্যে ফেইসবুক ক্রিপ্টোকারেন্সি প্রকল্প উন্মোচন করেছিল ২০১৯ সালের জুন মাসে। তবে শুরুতেই আন্তর্জাতিক নীতিনির্ধারকদের প্রবল বিরোধীতার মুখে পড়ে প্রকল্পটি।
ফেইসবুকের প্রকল্পটির কারণে লেনদেন ব্যবস্থার উপর নিয়ন্ত্রণ ক্ষতিগ্রস্থ হওয়ার আশঙ্কা করছেন নীতিনির্ধারকরা। ফেইসবুক ক্রিপ্টোকারেন্সি প্রচলন করলে তাতে ব্যবহারকারীদের গোপনতা আরও ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় পড়বে এবং প্ল্যাটফর্মটি ব্যবহার করে অপরাধ কর্মকাণ্ড বাড়বে-- এমনটাও আশঙ্কা করছেন তারা।