এয়ারবাডসকে শ্রবণ সহায়ক যন্ত্র হিসেবে ব্যবহার করতে পারে অ্যাপল। আবার হতে পারে এর মোশন সেন্সর ব্যবহার করে ব্যবহারকারীদের দেহভঙ্গি ঠিক করে দেওয়ার কাজে লাগাতে পারে অ্যাপল। ফাঁস হওয়া নথি বলছে, এক প্রোটোটাইপে শরীরের তাপমাত্রা পরীক্ষার জন্য থার্মোমিটারও আছে।
সূত্রের বরাত দিয়ে ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের প্রতিবেদন জানিয়েছে, ফিচারগুলো ২০২২ সালের আগে দেখা যাবে না। সবাই হয়তো পাবেনও না। দীর্ঘদিনের রেওয়াজ মেনে এ বিষয়ে অ্যাপল কোনো মন্তব্য করতে রাজি হয়নি।
এয়ারপডসকে স্বাস্থ্য গ্যাজেটে বদলে দিতে ঝামেলা পার করতে হবে অ্যাপলকে। অন্তত কিছু ফিচারের জন্য নিয়ন্ত্রকদের সায় লাগবে প্রতিষ্ঠানটির। ২০২২ সালের জন্য অপেক্ষমান ‘ইউএস ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের’ (এফডিএ) নিয়মতালিকার বরাতে হয়তো সেটি সম্ভব হতে পারে। তারপরও ইয়ারবাডসের জন্য সম্মতি মিলতে কয়েক মাস সময় অপেক্ষা করতে হতে পারে।
অডিও পণ্য নির্মাতা বোসকেও এফডিএ অনুমোদিত ‘সাউন্ড কন্ট্রোল হিয়ারিং এইড’ আনতে অপেক্ষা করতে হয়েছিল দীর্ঘসময়।
কারিগরি কিছু সমস্যাও রয়েছে। বর্তমানে এয়ারপডস প্রো-তে নয়েজ ক্যান্সেলিং সচল রেখে সাড়ে চার ঘণ্টার বেশি কোনো কিছু শোনা সম্ভব হয় না। কলের ক্ষেত্রে এ সময়সীমা আরও কম, এয়ারপডস প্রো সচল থাকে সাড়ে তিন ঘণ্টা। এতো অল্প সময় স্বাস্থ্য পরিধেয়র জন্য আদর্শ নয় বলেই মন্তব্য করেছে প্রযুক্তিবিষয়ক ব্লগ এনগ্যাজেট।
এ ছাড়াও দীর্ঘসময় যাতে আরামে ডিভাইসটি পরে থাকা যায় এবং বিভিন্ন ধরনের শ্রবণ প্রতিবন্ধকতা যাতে সামাল দিতে পারে, সে বিষয়টিও আমলে নেওয়া প্রয়োজন বলে মনে করছে প্রযুক্তিবিষয়ক সাইটটি।