টুইটারে স্পেসএক্স প্রধান মাস্কের অনুসারী সংখ্যা এখন ছয় কোটি। এদের মধ্য থেকে এক অনুসারী মাস্ককে জিজ্ঞাসা করেছিলেন, “সেইন্ট জুডের জন্য শত শত লাখ ডলার সংগ্রহে যে চার নতুন মার্কিন নভোচারী সহায়তা করলেন তাদেরকে স্বীকৃতি দিতেও রাজি হলেন না যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট। এ ব্যাপারে আপনার মতামত কী?”
উত্তরে মাস্ক বলেন, “তিনি এখনও ঘুমাচ্ছেন।”
মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনবিসি’র প্রতিবেদন বলছে, তিন দিন মহাকাশে থাকার পর কক্ষপথ থেকে চার নভোচারী নিয়ে নিরাপদে পৃথিবীর বুকে ফিরেছে স্পেসএক্সের ‘ক্রু ড্রাগন’ মহাকাশযান। সফল হয়েছে ‘ইন্সপিরেশন ৪’ মিশন। এ মিশনের অন্যতম লক্ষ্য ছিলো সেইন্ট জুড চিলড্রেন’স রিসার্চ হসপিটালের জন্য ২০ কোটি ডলার সংগ্রহ করা। শনিবার পর্যন্ত ১৬ কোটি দুই লাখ ডলার সংগ্রহ হয়েছিলো এবং মাস্ক ব্যক্তিগতভাবে পাঁচ কোটি ডলার অনুদান দিয়েছেন। সবমিলিয়ে মোট সংগ্রহ দাঁড়িয়েছে ২১ কোটি ডলারের ঘরে।
স্পেসএক্স বা হোয়াইট হাউস তাৎক্ষণিকভাবে মন্তব্যের অনুরোধে সাড়া দেয়নি।
ইন্সপিরেশন ৪ মিশনের জন্য মাস্ক ও স্পেসএক্সকে অভিনন্দন জানিয়েছেন নাসা কর্মকর্তারা। এ ছাড়াও মিশনটিকে স্বীকৃতি দিয়েছে বোয়িং, লকহিড মার্টিন এবং ব্লু অরিজিনের মতো স্পেসএক্স প্রতিদ্বন্দ্বীরা। এমনকি জেফ বেজোস-ও অভিনন্দন জানিয়ে পোস্ট দিয়েছেন সামাজিক মাধ্যমে।
এ মিশনের মধ্য দিয়ে বেশ কয়েকটি রেকর্ড গড়েছে স্পেসএক্স। প্রথমবারের মতো অপেশাদার ক্রু নিয়ে মহাকাশ সফর পরিচালনা করেছে প্রতিষ্ঠানটি, হিসেবে এটিই প্রথম ‘প্রাইভেট স্পেসএক্স স্পেসফ্লাইট’। এবারই প্রথম মহাকাশযানে পাইলটের ভূমিকা পালন করেছেন কোনো কৃষ্ণাঙ্গ নারী। এ ছাড়াও সবচেয়ে অল্পবয়সী ‘প্রসথেসিস’ বা কৃত্রিম অঙ্গ সম্বলিত মার্কিন নভোচারীও ছিল এই সফরে।
উল্লেখ্য, ২৯ বছর বয়সী নভোচারী হেলি আর্সেন্যালের পায়ে ধাতব রড রয়েছে বলে জানিয়েছিল স্পেস ডটকমের এক প্রতিবেদন।
মাস্ক কিছুদিন আগেই “রাজনীতি থেকে দূরে থাকতে” চান বলে জানিয়েছিলেন। কিন্তু রোববার টুইটারে তার মন্তব্য বলছে ভিন্ন কথা। সিএনবিসি বলছে, ওই উক্তির মধ্য দিয়ে মার্কিন ডান-পন্থী এক বিদ্রুপের পুনরাবৃত্তি করেছেন স্পেসএক্স প্রধান।
২০২০ মার্কিন নির্বাচনের ক্যাম্পেইনে তৎকালীন প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী জো বাইডেনকে বহু বার “স্লিপি জো” বা “ঘুমন্ত জো” তকমা দিয়েছেন সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।