আফগানিস্তান থেকে আসা ওই বিমানে স্বাধীন সংবাদকর্মী, অধিকারকর্মী এবং ৭৫ শিশুসহ তাদের পরিবারের বাকি সদস্যরা ছিলেন বলে নিশ্চিত করেছে মেক্সিকো সরকার। আফগানিস্তান থেকে একে একে ব্যবসা গুটিয়ে নিচ্ছে বহুজাতিক প্রতিষ্ঠানগুলো। তালেবান ক্ষমতা দখলের পর থেকেই চলছে এই পরিস্থিতি।
এই প্রসঙ্গে বিবিসিকে ফেইসবুকের এক মুখপাত্র বলেন, “ফেইসবুক কর্মী এবং কাছের অংশীদারদের আফগানিস্তান ছাড়তে সাহায্যের অংশ হিসেবে জীবন ঝুঁকিতে থাকা সংবাদকর্মী এবং তাদের পরিবারের দেশ ত্যাগের প্রচেষ্টায় সহযোগিতা করেছি আমরা।”
“মেক্সিকোর নেতৃত্ব এবং প্রাথমিক অবতরণের সময় সংযুক্ত আরব আমিরাতের সমর্থনকে ধন্যবাদ; মেক্সিকোতে স্বাগত জানানো হয়েছে সংবাদকর্মীদের”-- এক বিবৃতিতে বলেছে প্রতিষ্ঠানটি।
আফগানিস্তানের নিরাপত্তা জটিলতার কারণে পুরো বিষয়টি নিয়ে বিস্তারিত জানানো থেকে বিরত থেকেছে ফেইসবুক কর্তৃপক্ষ।
অন্যদিকে, মেক্সিকো সরকার জানিয়েছে, “আফগানিস্তানের বর্তমান পরিস্থিতিতে মানবিক কারণে মেক্সিকোতে আসা চতুর্থ দল এটি। তাদের মধ্যে আছেন সামাজিক মাধ্যম কর্মী, অধিকারকর্মী, স্বাধীন সংবাদকর্মী এবং ৭৫ শিশুসহ তাদের পরিবারের বাকি সদস্যরা”।
অনলাইন নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কিত আফগানদের জন্য দুই সপ্তাহ আগেই নতুন নিরাপত্তামূলক পদক্ষেপ নিয়েছিলো ফেইসবুক। নতুন পদক্ষেপের ঘোষণা দিয়েছিলেন প্রতিষ্ঠানটির নিরাপত্তা নীতিমালা বিষয়ক প্রধান নাথানিয়েল গ্লেইশার।
“আফগানিস্তানের নাগরিকদের জন্য আমরা একটি ওয়ান-ক্লিক টুল চালু করেছি যা তাদের অ্যাকাউন্ট দ্রুত লকডাউন করতে সাহায্য করবে। প্রোফাইল লকড থাকলে যেসব লোক ব্যবহারকারীর বন্ধু নন, তারা ব্যবহারকারীর প্রোফাইল ফটো ডাউনলোড করতে পারবেন না এবং টাইমলাইনের পোস্ট দেখতে পারবেন না।”--এক টুইট বার্তায় জানিয়েছিলেন গ্লেইশার।
তালেবানকে সন্ত্রাসবাদী গোষ্ঠী হিসেবে বিবেচনা করা হবে এবং তাদের কন্টেন্ট নিষিদ্ধ করা হবে বলে অগাস্ট মাসেই নিশ্চিত করেছিলো ফেইসবুক কর্তৃপক্ষ।
“মার্কিন আইন অনুযায়ী, তালেবান একটি চিহ্নিত সন্ত্রাসী গোষ্ঠী এবং বিপজ্জনক গোষ্ঠী নীতিমালার অধীনে নিজস্ব প্ল্যাটফর্ম থেকে তাদের নিষিদ্ধ রেখেছি আমরা। এর মানে হলো, তালেবান নিয়ন্ত্রিত বা তাদের পক্ষের অ্যাকাউন্ট, তালেবানের সুনাম করা, সমর্থন দেওয়া এবং তাদের প্রতিনিধিত্ব করা কন্টেন্ট মুছে দেই আমরা।”-- বিবিসিকে বলেছেন ফেইসবুকের এক মুখপাত্র।
অগাস্টের শেষ সপ্তাহে আফগানিস্তানে চলতি প্রকল্পগুলোর তহবিল যোগান দেওয়া বন্ধ করে দিয়েছে বিশ্বব্যাংক। তালেবান ক্ষমতা দখলের ফলে “দেশটির উন্নয়নের ভবিষ্যত কী হবে, বিশেষ করে নারীদের ক্ষেত্রে”--এই সংশয় থেকে বিভিন্ন প্রকল্পের তহবিল যোগান বন্ধ করা হয়েছে বলে জানিয়েছিলো বিশ্বব্যাংক।
আফগানিস্তানে ইন্টারন্যাশনাল মনিটারি ফান্ড (আইএমএফ) তহবিল সরবরাহ বন্ধের কয়েক দিনের মাথায় ওই পদক্ষেপ নেয় বিশ্বব্যাংক।