মার্কিন সফটওয়্যার জায়ান্ট প্রতিষ্ঠানটি আরও জানিয়েছে, “আমরা কর্মীদেরকে এককালীন আর্থিক উপহারের মাধ্যমে মূল্যায়ন করতে পেরে গর্বিত।” গত বছরের তুলনায় এ বছরের প্রথম প্রান্তিকে মাইক্রোসফটের মুনাফা বেড়েছে ৩৮ শতাংশ।
প্রযুক্তিবিষয়ক সাইট ভার্জের প্রতিবেদন বলছে, ভাইস-প্রেসিডেন্ট পদের নিচে রয়েছেন এবং ৩১ মার্চ ২০২১ এর আগে কাজে যোগ দিয়েছেন এমন সব কর্মীই বোনাস পাবেন। এমনকি খণ্ডকালীন কর্মীরাও বোনাস থেকে বাদ পড়বেন না।
মহামারীতে বড় প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলো ব্যবসার দিক থেকে ভালো করছে। শুধু মাইক্রোসফট নয়, কর্মীদের বোনাস দিয়েছে ফেইসবুক, গুগল এবং অ্যামাজনও।
গত বছরের মার্চে ফেইসবুক কর্মীদেরকে এক হাজার ডলার করে বোনাস দিয়েছিল যাতে তারা মহামারীর কারণে বেড়ে যাওয়া খরচ সামাল দিতে পারেন। বাসায় অফিস বসাতে হচ্ছে এমন কর্মীরা পেয়েছিলেন ওই আর্থিক সুবিধা।
গত বছরের মে মাসে গুগলও একই ধরনের সুবিধা দিয়েছিল কর্মীদের, এক হাজার ডলার করে তুলে দিয়েছিল তাদের হাতে। একই বছরের ডিসেম্বরে অ্যামাজন নিজ সম্মুখসারির কর্মীদের তিনশ’ ডলার করে বোনাস দিয়েছিল। অ্যামাজনের খণ্ডকালীন কর্মীরা বোনাস পেয়েছিলেন দেড়শ ডলার হারে।
অ্যামাজনের আয় ২০২০ সালে ৩৮ শতাংশ বেড়ে ৩৮ হাজার ছয়শ’ কোটি ডলারের গিয়ে দাঁড়িয়েছে।
গত মাসে সিএনবিসিতে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে উঠে এসেছিল মাইক্রোসফট কর্মীদের ভিন্ন এক চিত্রের গল্প। লকডাউনে বাসায় যেতে না পেরে বিশ্বের বহু দেশের ডেটা সেন্টারের মেঝেতে ঘুমিয়েছিলেন মাইক্রোসফট কর্মীরা।
ডেটা সেন্টারের তাপমাত্রা ক্রমাগত উঠানামা করে, কখনও সার্ভার থেকে বের হওয়া বাষ্পে ঘরের মধ্যে থাকা সারিগুলো গরম হয়ে ওঠে, আবার শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ যন্ত্রের কারণে কখনও পুরো ঘরটাই অনেক ঠাণ্ডা হয়ে যায়।
সে সময় মাইক্রোসফট কর্মীদের এ গল্প শুনিয়েছিলেন প্রতিষ্ঠানটির কর্পোরেট ভাইস প্রেসিডেন্ট ক্রিস্টেন রবিন ডিমলো।