ডিজিটাল কমার্স নির্দেশিকা ‘একটি আইনগত প্রক্রিয়ার সূচনা’

সদ্য প্রকাশিত 'ডিজিটাল কমার্স পরিচালনা নির্দেশিকা ২০২১'-কে একটি “আইনগত প্রক্রিয়ার সূচনা” হিসেবে দেখছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি।

প্রযুক্তি ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 6 July 2021, 12:37 PM
Updated : 6 July 2021, 12:37 PM

এর গুরুত্বপূর্ণ দিকগুলো তুলে ধরে মন্ত্রী বলেন, এটি বিক্রেতা ও ভোক্তা উভয়ের স্বার্থ সংরক্ষণ করবে। এই নির্দেশিকা পালনের মাধ্যমে ই-কমার্স খাতে শৃংখলা প্রতিষ্ঠিত হবে।

নির্দেশিকার প্রকাশনা উপলক্ষে মঙ্গলবার এক অনলাইন আয়োজনে মন্ত্রী বক্তব্য রাখছিলেন।

বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ঠ সরকারী এবং বেসরকারী প্রতিষ্ঠানের মতামত নিয়ে একাধিকবার আলোচনার মাধ্যমে এটি চূড়ান্ত করেছে। তিনি বলেন এটা একটা আইনগত প্রক্রিয়ার সূচনা।

“প্রয়োজনে সকলের মতামত নিয়ে ভবিষ্যতে এটি সংশোধন করা হবে।”

এর আগে ৪ জুলাই বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের ডব্লিওটিও সেল থেকে এই নির্দেশিকা গেজেট আকারে প্রকাশিত হয়েছে। ডিজিটাল কমার্স পলিসি ২০১৮ এর ৩.৩.৬ বিধি অনুসারে এটি প্রণয়ন করেছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।

আয়োজনে বাণিজ্য সচিব তপন কান্তি ঘোষ বলেন, দ্রুততার সঙ্গে এই নীতিমালা চূড়ান্তকরণকে গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। সমস্যার সমাধানের একটা গাইডলাইন এই নীতিমালা। এ ছাড়া প্রচলিত আইন ও সংশ্লিষ্ঠ সকল পক্ষের মতামত সমন্বয় করা হয়েছে। সংশ্লিষ্ঠ প্রতিষ্ঠানগুলো নিজ নিজ দায়িত্ব পালন করলে এই নির্দেশিকা বাস্তবায়ন সহজ হবে।

বাংলাদেশ প্রতিযোগিতা কমিশন এর চেয়ারম্যান মো. মফিজুল ইসলাম বলেন, ইতোপূর্বে বিভিন্ন অস্বাভাবিক অফারের ক্ষেত্রেও আমরা একটা নির্দেশনা দিয়েছি।

“আশা করি প্রয়োজনীয় তথ্য উপাত্ত দিয়ে এসোসিয়েশন এবং ডিজিটাল কমার্স প্রতিষ্ঠানগুলো কমিশনকে প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রে সহযোগিতা করবে।”

ই-ক্যাবের সভাপতি শমী কায়সার বলেন বলেন, “এখানে ক্রেতাদের অধিকার রক্ষা এবং বিক্রেতাদের আর্থিক নিরাপত্তা - এ দুটো বিষয় রাখার চেষ্টা করেছি।”

ই-ক্যাব সভাপতি এই নির্দেশিকা দ্রুত চূড়ান্ত করার জন্য  সংশ্লিষ্ঠ সকলকে ধন্যবাদ জানান। বাস্তবতার আলোকে পরবর্তীতে প্রয়োজনীয় সংশোধণের জন্য ই-ক্যাব সরকারের সঙ্গে কাজ করবে বলেও জানান তিনি।

সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল ওয়াহেদ তমাল বলেন, দীর্ঘদিন ধরে ই-কমার্স ইন্ডাস্ট্রিতে ক্রেতাদের উৎকণ্ঠা এবং সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদনের কারণে এই নির্দেশিকার প্রাসঙ্গিকতা সামনে চলে এসেছে।

আলোচনায় অংশ নেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের ডব্লিউটিও সেল-এর মহাপরিচালক ও অতিরিক্ত সচিব হাফিজুর রহমান, বেসিস  সভাপতি সৈয়দ আলমাস কবীর।