অ্যামাজন, ওয়ালমার্ট আইন ভাঙছে, উদ্ধত: ভারতীয় বাণিজ্যমন্ত্রী

অ্যামাজন আর ওয়ালমার্টের মতো মার্কিন ই-কমার্স জায়ান্টদের ওপর অভিযোগের আঙ্গুল তুলেছেন ভারতের বাণিজ্যমন্ত্রী পীযূষ গয়াল। তার মতে, প্রতিষ্ঠানগুলো ঔদ্ধত্যপূর্ণ এবং মূল্য নির্ধারণে শিকারীসুলভ অনুশীলনের মাধ্যমে দেশটির আইনকে বুড়ো আঙ্গুল দেখাচ্ছে।

প্রযুক্তি ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 28 June 2021, 11:01 AM
Updated : 28 June 2021, 11:01 AM

গয়াল বলেন, “এইসব বড় প্রতিষ্ঠানগুলি তাদের সক্ষমতা এবং কম খরচে বড় মূলধন পাওয়ার সুযোগ কাজে লাগিয়ে পণ্যের দাম নির্ধারণে শিকারীসুলভ আচরণ করছে, যার ফলে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে ছোট ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলো।”

“এই ই-কমার্স জায়ান্ট প্রতিষ্ঠানগুলির মধ্যে বেশ কয়েকটি ভারতে এসেছে এবং একাধিক উপায়ে দেশের আইনকে অত্যন্ত স্পষ্টভাবে অমান্য করেছে।” শনিবার রাতে এক ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানে গয়াল বলেন বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে রয়টার্স।

“এই বড় কোম্পানিগুলো, বিশেষ করে আমেরিকানগুলোর সঙ্গে আমার বেশ কিছু যোগাযোগ হয়েছে এবং তাদের আচরণে আমি খানিকটা ঔদ্ধত্য দেখেছি।”

গয়াল সরাসরি অ্যামাজন বা ওয়ালমার্ট মালিকানাধীন ফ্লিপকার্টের নাম নেননি বা প্রতিষ্ঠানগুলো ভারতের কোন আইন অমান্য করছে তা নির্দিষ্ট করে বলেননি। কিন্তু তার মন্তব্য এমন এক সময়ে এলো যখন ভারতীয় ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী এবং খুচরা বিক্রেতারা মার্কিন ই-কমার্স জায়ান্ট প্রতিষ্ঠানগুলোর বিরুদ্ধে ভারতীয় ভোক্তা সুরক্ষা আইন এবং প্রতিযোগিতা আইন এড়ানোর অভিযোগ ক্রমেই জোর গলায় তুলছে।

গয়ালের তীব্র সমালোচনা বিষয়ে মন্তব্যের অনুরোধে তাৎক্ষণিকভাবে অ্যামাজন এবং ফ্লিপকার্ট সাড়া দেয়নি। তবে, প্রতিষ্ঠান দুটি এমন অভিযোগ অস্বীকার করেছে।

গয়াল আদালতে 'ফোরাম শপিং'য়ে জড়িত থাকা এবং ভারতের প্রতিযোগিতা কমিশনের শুরু করা তদন্ত মেনে চলতে ব্যর্থতার জন্য প্রতিষ্ঠানগুলোর সমালোচনা করেন।

“তাদের যদি লুকানোর কিছু না থাকে, যদি তারা সততার সঙ্গেই ব্যবসা চালিয়ে থাকে, তবে তারা সিসিআইকে কেন সাড়া দেয় না?” স্ট্যানফোর্ড ইন্ডিয়া পলিসি অ্যান্ড ইকোনমিক্স ক্লাব আয়োজিত ভার্চুয়াল ইভেন্টে গয়াল প্রশ্ন তোলেন।

ই-কমার্স বিষয়ে ভারত নতুন বিধিমালা জারি করার কয়েক দিনের মধ্যেই বাণিজ্যমন্ত্রীর এই মন্তব্য এলো। নতুন বিধিমালা ভারতে অ্যামাজন এবং ফ্লিপকার্টের উচ্চাকাঙ্ক্ষায় পানি ঢেলে দিতে পারে এবং প্রতিষ্ঠানগুলোর ব্যবসা কাঠামো বদলাতে বাধ্য করতে পারে বলে উঠে এসেছে রয়টার্সের প্রতিবেদনে।

ভারতে প্রভাবশালী মার্কিন লবি 'ইউএস-ইন্ডিয়া বিজনেস কাউন্সিল' এই সপ্তাহেই একটি অভ্যন্তরীণ মেমোতে ভারতের প্রস্তাবিত নতুন ই-কমার্স নীতিমালাকে উদ্বেগজনক বলে বর্ণনা করেছে।