নিউ জার্সি - টেক্সাস তেলের পাইপলাইনে সাইবার হামলা

হাসপাতাল থেকে শুরু করে বন্দর, কিন্ডারগার্টেন, এমনকি গলফ টুর্নামেন্ট। র‍্যানসমওয়্যার অপারেটররা তাদের সম্ভাব্য শিকারের বেলায় কখনও কাউকে আলাদা করে দেখেনি। এই শুক্রবার তারা শিকারের তালিকায় নতুন একটি শ্রেণি যোগ করলো - জ্বালানী তেল সরবরাহ পাইপলাইন।

প্রযুক্তি ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 9 May 2021, 02:14 PM
Updated : 9 May 2021, 02:14 PM

মার্কিন প্রতিষ্ঠান ‘কলোনিয়াল পাইপলাইন’ সম্প্রতি একটি বিবৃতিতে বলেছে, শুক্রবার প্রতিষ্ঠানটি আবিষ্কার করেছে যে, তাদের আইটি সিস্টেম র‍্যানসমওয়্যারে আক্রান্ত হয়েছে। প্রতিষ্ঠানটি সঙ্গে সঙ্গে তার পুরো পাইপলাইন অফলাইনে নিয়ে যায় বলে জানিয়েছে প্রযুক্তিবিষয়ক সংবাদ সাইট ওয়্যার্ড।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বৃহত্তম পরিশোধিত পণ্য পাইপলাইনটি পরিচালনা করে কলোনিয়াল পাইপলাইন। এই নেটওয়ার্ক নিউ জার্সি থেকে টেক্সাস পর্যন্ত প্রায় নয় হাজার কিলোমিটার বিস্তৃত।

র‍্যানসমওয়্যার সাধারণত একজন ভুক্তভোগীর কম্পিউটারের তথ্যাবলী এনক্রিপ্ট করে ফেলে এবং এরপর ফাইল পুনরুদ্ধার করার জন্য অর্থ দাবি করে। এই অর্থ সাধারণত তারা চায় ক্রিপ্টোকারেন্সি আকারে। অনেক সময়ই র‍্যানসমওয়্যারের জন্য দায়ী হ্যাকাররা অর্থ পাওয়ার পর ডিক্রিপ্ট কি দিয়ে দেয়, তবে এর কোনো নিশ্চয়তা নেই।

এদিকে র‍্যানসমওয়্যার হামলার পর হ্যাকারদের অর্থ প্রদান করা হবে কি না তা নিয়েও একটি বিতর্ক চলছে। হামলার শিকার প্রতিষ্ঠানগুলোর বেশিরভাগ কর্মকর্তা এবং বিশেষজ্ঞরা সবসময়ই অর্থ প্রদানের বিপক্ষে আছেন।

"মুক্তিপণ প্রদান প্রায়শই ব্যয়বহুল, বিপজ্জনক এবং এটি আসলে হ্যাকারদের তাদের কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়ার উৎসাহ দেয়। মাইক্রোসফটের নিরাপত্তা দল ২০১৯ সালে সতর্ক করে দিয়ে বলে, “মুক্তিপণ দেওয়া আসলে আক্রমণকারীদের পিঠ চাপড়ে দেওয়ার মতোই”।

এরই মধ্যে, অনেক ভুক্তভোগী আর কোনও বিকল্প না পেয়ে ক্রিপ্টোকারেন্সি কেনেন।

সাম্প্রতিক এই ঘটনায় আক্রান্ত প্রতিষ্ঠানটি বলছে, "কলোনিয়াল পাইপলাইন এই সমস্যাটি বুঝতে এবং সমাধানের জন্য পদক্ষেপ নিচ্ছে।"

"এই সময়ে, আমাদের প্রাথমিক ফোকাস হল আমাদের পরিষেবার নিরাপদ ও দক্ষ পুনরুদ্ধার এবং স্বাভাবিক অপারেশনে ফিরে আসার জন্য আমাদের প্রচেষ্টা।"

তবে, এটি যে ঠিক হতে কতো সময় লাগবে তা অস্পষ্ট।