কোনো রহস্য নেই এর মধ্যে। ৩০ বছর বয়সী নিকোলাস কুরোনা বললেন, গুগল ডটকম ডটএআর তিনি একেবারে সহজ, সাধারণ এবং আইনসংগত উপায়ে কিনেছেন। বিবিসিকে তিনি বলেন, “আমি কখনো কল্পনা করিনি আমাকে এটা কিনতে দেবে।”
গুগল আর্জেন্টিনা অবশ্য কোনো বিস্তারিত ব্যাখ্যায় যায়নি। তারা সোজাসাপ্টা বলেছে, “অল্প সময়ের জন্য ডোমেইনটি অন্য কারো অধীনে চলে গিয়েছিল।”
গুগল দ্রুতই সেটি উদ্ধার করে ও নিজের দখলে নিয়ে নেয়।
ঘটনার শুরু যখন বুয়েন্স আয়ার্সে নিজের ডেস্কে বসে নিকোলাস এক ক্লায়েন্টের জন্য ওয়েবসাইট ডিজাইন করছিলেন। সে সময় তিনি হোয়াটসঅ্যাপে মেসেজ পেতে শুরু করেন যে গুগল ডাউন হয়ে আছে।
"আমি ব্রাউজারে www.google.com.ar লিখে এন্টার দিলাম কিন্তু দেখি কোনো সাড়া নেই। মনে হলো অদ্ভুত কিছু একটা ঘটছে।"
ডোমেইন নেইম বিষয়ে যারা জানেন তারা যা করতেন, নিকোলাসও তাই করলেন। ডটএআর ডোমেইন যারা রেজিস্ট্রেশন করেন, সেই নেটওয়ার্ক ইনফর্মেশন সেন্টার (এনআইসি) আর্জেন্টিনায় গিয়ে গুগল নামটি খুঁজে দেখলেন। অবাক কাণ্ড, নামটি কোথাও রেজিস্ট্রেশন করা নেই! শুধু তা-ই নয়, চাইলে ডোমেইনটি কিনেও নেওয়া যাবে।
দ্বিধাগ্রস্থ নিকোলাসের বিশ্বাস ওই ডোমেইন তিনি কিনতে পারবেন না। এরপরও তিনি কেনার ধাপগুলো একে একে পার হয়ে গেলেন। “এবং এক পর্যায়ে একটা ইমেইল পেলাম যে ডোমেইনটি আমি কিনতে পেরেছি!”
নিকোলাস সেই ইনভয়েস দেখিয়েছেন বিবিসিকে। সেখানে লেখা আছে, ২৭০ পেসো'র বিনিময়ে তিনি গুগল আর্জেন্টিনা ডোমেইন কিনে নিয়েছেন।
জমে গিয়েছিলাম আমি!
"তাজ্জব হয়ে আমি ব্রাউজারে গুগল ডটকম ডটএআর লিখে এন্টার দিলাম। অবাক কাণ্ড, সেখানে আমার নিজের তথ্য দেখাচ্ছে।"
পর্দার দিকে তাকিয়ে আমি স্রেফ জমে গেলাম। আমি বিশ্বাস করতে পারছিলাম না, কী হয়ে গেল।
বুধবার স্থানীয় সময় রাত নয়টা ৫২ মিনিটে গুগল ডোমেইনটি কেনেন নিকোলাস। সঙ্গে সঙ্গে লাখ বিশেক সার্চ এবং সার্চের পেছনের লোকজন যেন আসতে লাগল নিকোলাসের দিকে।
“একটা বিষয় আমি পরিষ্কার রাখতে চাই- আমার কোনো খারাপ উদ্দেশ্য ছিল না। আমি ডোমেইনটি কেনার চেষ্টা করেছি এবং এনআইসি আমাকে সেটা কিনতে দিয়েছে।"
এই আপাতঃ সহজ বিষয়টিই এক মুহূর্তে নিকোলাসকে এনে দেয় তারকা খ্যাতি।
শেষ পর্যন্ত যা জানা গেল সেটি হচ্ছে, গুগল আর্জেন্টিনা তাদের ডোমেইনটি রিনিউ করতে ভুলে গিয়েছিল। তবে, ওই ডোমেইনের জন্য গুগলের লাইসেন্সের মেয়াদ তথনো ফুরিয়ে যায়নি। কিন্তু এই অবস্থায় অন্য কেউ কী করে ডোমেইনটি কিনে নিতে পারলো, সেটি একটি রহস্য।
সর্বশেষ তথ্য হচ্ছে, গুগল ডোমেইন ফেরত গিয়েছে তার পুরোনো মালিকের কাছে। আর বেচারা নিকোলাস তার ২৭০ পেসো ফেরত পাননি।