গোপনতা উদ্বেগ: পুরোনো ফোনে আগ্রহী হংকংবাসী

করোনাভাইরাস প্রশ্নে হংকংয়ে কড়াকড়ি শিথিল করেছে চীনা কর্তৃপক্ষ। তবে, বাসিন্দাদের বাধ্যতামূলকভাবে করোনাভাইরাস ট্রেসিং অ্যাপ ব্যবহার করতে বলছে তারা। ব্যাপারটিকে ঘিরে গোপনতা উদ্বেগ থাকায় হুট করেই শহরটিতে বেড়েছে সস্তা ফোন ক্রেতার সংখ্যা।

প্রযুক্তি ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 18 Feb 2021, 12:18 PM
Updated : 18 Feb 2021, 12:18 PM

সাবেক এ ব্রিটিশ কলোনিটিতে ২০১৯ সালে শুরু হয় চীন বিরোধী বিক্ষোভ। এর জের ধরে ২০২০ সালে শহরটিতে জাতীয় নিরাপত্তা আইন প্রয়োগ করে বেইজিং। অনেক বিক্ষোভকারীকে গ্রেপ্তারও করা হয় সে সময়।

স্বাস্থ্য মন্ত্রী সোফিয়া চ্যান অবশ্য অভয় দিয়েছেন, অ্যাপে কোনো গোপনতা শঙ্কা নেই, এটি শুধু ব্যবহারকারীর ফোনেই ডেটা সংরক্ষণ করে এবং কোনো তৃতীয় পক্ষ তা সংগ্রহ করে না। কোভিড-১৯ সংক্রমিত কারো কোছে এলে অ্যাপ ব্যবহারকারীকে সে সম্পর্কে অবহিত করে।

অন্যদিকে, হংকংয়ের বাসিন্দা, ২৮ বছর বয়সী হিসাবরক্ষক ভিনসেন্ট বলছেন, “আমি সস্তা ফোন কিনেছি, কারণ সরকার স্পষ্টতই হংকংয়ের বাসিন্দাদের বিশ্বাস করে না, তাহলে আমি কেন তাদের বিশ্বাস করবো?”

রয়টার্স এক প্রতিবেদনে বলছে, গোটা বিশ্বেই বিভিন্ন সময়ে এরকম কনট্যাক্ট ট্রেসিং অ্যাপ ও গোপনতা প্রশ্নে নানা ধরনের উদ্বেগ তৈরি হয়েছে।

হংকংয়ের কর্মজীবিদের এলকা শ্যাম শুই পো সস্তা বিদ্যুতচালিত পণ্যের জন্য সুপরিচিত। ওই অঞ্চলের অন্তত ডজন খানেকেরও বেশি বিক্রেতা জানিয়েছেন, গত সপ্তাহ থেকে পুরোনো স্মার্টফোনের চাহিদা বেড়েছে।

“মানুষ শুধু এমন সস্তা স্মার্টফোন চাইছে, যেটিতে লিভহোমসেফ অ্যাপ চলতে পারে।” – বলেছেন ফোন হাউসের বিক্রেতা ওঙ। গত সপ্তাহে ৫০টিরও বেশি ফোন বিক্রি করেছেন তিনি। অন্যান্য সময়ে প্রতি সপ্তাহে ১০ বা এরকম সংখ্যক ফোন বিক্রি হতো তার।

অন্যান্য অনেক বিক্রেতা আবার সস্তা স্মার্টফোন বিক্রি তিন বা চার গুণ বাড়তে দেখেছেন। “চীনা নববর্ষে আমি অনেক মানুষকে পুরোনো ফোন কেনার ব্যাপারে জিজ্ঞাসা করতে দেখেছি। আমার তাদেরকে বলতে হয়েছে, অ্যাপ চলার জন্য ফোনকে ন্যূনতম অ্যান্ড্রয়েড ৮ চালিত হতে হবে।”

এরকম বিক্রিত ফোনের মধ্যে সবচেয়ে বেশি বিক্রি হচ্ছে স্যামসাং জে৫, ২০১৫ সালে বাজারে এসেছিল ফোনটি। এখন এটি তিনশ’ হংকং ডলারে বিক্রি হচ্ছে।

হংকং সরকার জানিয়েছে, নভেম্বরের শেষে আসা কনট্যাক্ট ট্রেসিং অ্যাপটি এখন পর্যন্ত আট লাখ ৪০ হাজার বার ডাউনলোড হয়েছে।