স্থিতিশীল কয়েন বিষয়ে নীতিমালায় নীতিনির্ধারকদের সম্মতি

সাধারণ একটি পদ্ধতির মাধ্যমে ফেইসবুকের লিব্রার মতো ক্রস-বর্ডার স্থিতিশীল কয়েনগুলোকে নীতিমালার আওতায় আনতে সম্মতি দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলো। স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করতে পরবর্তীতে আরও নিয়মকানুন প্রয়োজন হতে পারে বলেও জানিয়েছে ব্যাংকগুলো।

প্রযুক্তি ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 13 Oct 2020, 01:38 PM
Updated : 13 Oct 2020, 01:38 PM

বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদন বলছে, মুদ্রা-সমর্থিত স্থিতিশীল কয়েন ফেইসবুকে শত কোটি মানুষ ব্যবহার করবে। এ কারণে একসঙ্গে নীতিমালা চূড়ান্ত করতে চাইছে কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলো। পাশাপাশি নিজস্ব স্থিতিশীল কয়েন উন্মোচনেরও পথ খুঁজছে ব্যাংকসহ আর্থিক সংস্থাগুলো।

বিবৃতিতে ফিনান্সিয়াল স্ট্যাবিলিটি বোর্ড (এফএসবি) জানিয়েছে, বর্তমান জাতীয় আইনগুলো স্থিতিশীল কয়েনকে পুরোপুরি আওতাভুক্ত করে না। ডেটা নিরাপদে রাখা, সাইবার হামলা প্রতিহত করতে সক্রিয় সুরক্ষা ব্যবস্থা এবং অর্থ পাচারের ঘটনার ক্ষেত্রে স্থিতিশীল কয়েনগুলো পুরোপুরি দায়ী থাকবে, এই বিষয়টি নিশ্চিত করা উচিত নীতিনির্ধারকদের।

এফএসবি বলেছে, আর্থিক স্থিতিশীলতা ঝুঁকিতে ফেলতে পারে এমন আইনি ফাঁক ফোকর বন্ধ করতে “যথাযথ পদক্ষেপ” নেওয়া হবে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংক এবং জি২০-এর আর্থিক নীতিনির্ধারকদেরকে একটি দলগত অবস্থানে নিয়ে এসেছে এফএসবি। চলতি বছর এপ্রিল মাসে একটি খসড়া পরামর্শ দিয়েছে সংস্থাটি। এতে বলা হচ্ছে, ক্রস-বর্ডার খুচরা লেনদেনের ক্ষেত্রে কার্যকরি হতে পারে স্থিতিশীল কয়েন। সাধারণত এই লেনদেনগুলো ধীর গতির এবং খরুচে হয়।

জি২০-এর অর্থ মন্ত্রীদেরকে দেওয়া এক প্রতিবেদনে এফএসবি বলেছে, “বিস্তৃত পরিসরে ব্যবহৃত স্থিতিশীল কয়েন এবং একাধিক বিচারব্যবস্থায় এর ব্যবহার পদ্ধতিগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠতে পারে।”

এই কয়েনের ক্ষেত্রে নীতিমালা বদলানোর দরকার রয়েছে কি না, সে বিষয়ে ২০২১ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দেবে ব্যাংক ক্যাপিটাল এবং অর্থ পাচার বিরোধী নীতিনির্ধারকরা।

স্থিতিশীল কয়েনগুলো কীভাবে কাজ করবে, সে বিষয়ে ২০২৩ সালের জুলাই মাসের মধ্যে নীতিমালা চূড়ান্ত হবে বলে জানিয়েছে এফএসবি।