বাসা-থেকে-কাজ: ‘চাইলে’ করতে পারবেন মাইক্রোসফট কর্মীরা

চাইলে ব্যবস্থাপকের অনুমতি নিয়ে স্থায়ীভাবে বাসা-থেকে-কাজ করতে পারবেন মাইক্রোসফট কর্মীরা - সম্প্রতি কর্মীদের এ খবর জানিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।

প্রযুক্তি ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 10 Oct 2020, 08:16 AM
Updated : 10 Oct 2020, 08:16 AM

মার্কিন প্রযুক্তি জায়ান্ট ফেইসবুক ও টুইটারও নিজ নিজ কর্মীদের স্থায়ীভাবে বাসা থেকে কাজ করার সুযোগ দিয়েছে। হিসেবে এ পদক্ষেপ অন্যান্যদের তুলনায় অনেক পরে নিলো মাইক্রোসফট।

বিবিসি জানিয়েছে, করোনাভাইরাস মহামারীর এ সময়ে অনেক প্রতিষ্ঠানই পুনঃবিবেচনা করছে তাদের আসলে কতটুকু অফিস স্থান প্রয়োজন। কারণ মহামারীর প্রভাব পড়েছে কর্মপরিবেশ ও কর্মপ্রণালীতে। গোটা বিশ্ব জুড়ে অনেকেই দীর্ঘদিন ধরে বাসা থেকে কাজ করছেন।

মাইক্রোসফট অবশ্য জানিয়েছে, কিছু কর্মীর অফিসে উপস্থিত হয়েই কাজ করতে হবে। এদের মধ্যে রয়েছেন  হার্ডওয়্যারে প্রবেশাধিকারের প্রয়োজন পড়ে এমন কর্মীরাও। তবে, অধিকাংশ কর্মীই খণ্ডকালীন হিসেবে বাসা থেকে কাজ করতে পারবেন, এবং এজন্য কোনো আনুষ্ঠানিক অনুমোদনের প্রয়োজন পড়বে না। - জানিয়েছে মাইক্রাসফট।

“আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে আমাদের কাজের পন্থাকে এমন অভিপ্রায়ে বিবর্তিত করে তোলা যা – কর্মীকে ইনপুটের মাধ্যমে দিক নির্দেশিত করে, এবং একক কাজের ধরনের সমর্থনে আমাদের প্রতিশ্রুতি ও আমাদের সংস্কৃতিতে ব্যবসায়ের প্রয়োজন ফুটিয়ে তোলে।” – নতুন নির্দেশনা প্রসঙ্গে বলেছেন মাইক্রোসফট মুখপাত্র।

শুধু যুক্তরাষ্ট্র নয়, যুক্তরাজ্যের মাইক্রোসফট কর্মীরাও বাসা-থেকে-কাজ সুবিধাটি পাবেন।

এপ্রিলের হিসেব অনুসারে, যুক্তরাষ্ট্রে ৪৬ শতাংশেরও বেশি কর্মী বাসা থেকে কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন বলে হিসেব দিয়েছে দেশটির ‘অফিস অফ ন্যাশনাল স্ট্যাটিস্টিকস’। যুক্তরাষ্ট্রেও প্রায় একই চিত্র, মে মাসেও দেশটির ৪২ শতাংশ কর্মী বাসা থেকে কাজ করেছেন বলে জানিয়েছে স্ট্যানফোর্ড ইউনিভার্সিটির অর্থনীতির অধ্যাপক নিকোলাস ব্লুম।

তিনি জানিয়েছেন, গবেষণাটি ২০ থেকে ৬৪ বছর বয়সী যারা গত বছর ১০ হাজার ডলারের বেশি আয় করেছেন, তাদের উপর করা হয়েছে। 

ব্লুম জানিয়েছেন, অগাস্টে বাসা থেকে কাজ কমেছে ৩৫ শতাংশ। কিন্তু তারপরও এটি বড় একটি পরিবর্তন। কারণ  মহামারীর আগে মাত্র দুই শতাংশ কর্মী পুরোপুরি বাসা থেকে কাজ করতেন। এ প্রসঙ্গে ব্লুমের ভাষ্য, “আমরা যা করছি তা অতি মাত্রায় স্রোতের বিপরীতে।”    

যুক্তরাষ্ট্রের ‘উইলিস টাওয়ারস ওয়াটসন’ মে মাসে এক জরিপ করেছে নিয়োগদাতাদের উপর। জরিপের তথ্য অনুসারে, নিয়োগদাতারা আশা করছেন ২২ শতাংশ কর্মী বাসা থেকে কাজ করবেন, যা ২০১৯ সালের তুলনায় মাত্র সাত শতাংশ বেশি।

জরিপে অংশগ্রহণকারী ৫৫ শতাংশ নিয়োগদাতাই জানিয়েছেন, কর্মীরা অন্তত সপ্তাহে একদিন বাসা থেকে কাজ করবেন বলে প্রত্যাশা করছেন তারা।

বিশ্লেষকদের ধারণা, এ ধরনের পরিবর্তনের প্রভাব খুব ব্যাপকভাবে পড়বে। এতে করে ব্যবয়বহুল শহর কেন্দ্রের কার্যালয় ও আবাসিক এলাকা চাহিদা কমবে। এরই মধ্যে নিউ ইয়র্ক এবং স্যান ফ্রান্সিসকোর গড়পরতা ভাড়া কমেছে এবং এই হার ২০০৫ সালে প্রচলিত ভাড়ার পর্যায়ে চলে যেতে পারে।