এর আগে জুলাই মাসে দেশটি ঘোষণা করেছে যে, অন্যান্য প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি ১০ শতাংশ ভ্যাট দিতে হবে গুগল এশিয়া প্যাসিফিক, নেটফ্লিক্স এবং ফেইসবুককে।
ইন্টারনেটভিত্তিক প্রযুক্তি জায়ান্ট প্রতিষ্ঠানগুলো যাতে ন্যায্য কর পরিশোধ করে সে বিষয়টি নিশ্চিত করতে বিশ্বজুড়েই বিভিন্ন পন্থা বের করছে বিভিন্ন দেশের সরকার।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদন বলছে, ইন্দোনেশিয়া এই পদক্ষেপ নিয়েছে, কারণ করোনাভাইরাস মহামারীতে বাসা থেকে কাজ করা কর্মীর সংখ্যা বাড়ার ফলে অনলাইন ব্যবসাও বেড়েছে। অর্থনীতির ক্ষতি কিছুটা পুষিয়ে নিতেই এই পদক্ষেপ নিয়েছে দেশটি।
মঙ্গলবার ইন্দোনেশিয়া নতুন করে যে ১২টি প্রতিষ্ঠানের তালিকা দিয়েছে তার মধ্যে রয়েছে লিঙ্কডইন সিঙ্গাপুর, টুইটারের দুইটি বিভাগ, স্কাইপ কমিউনিকেশনস, জুম ভিডিও কমিউনিকেশনস, অ্যান্টিভাইরাস সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান ম্যাকাফি আয়ারল্যান্ড এবং মাইক্রোসফট আয়ারল্যান্ড।
চলতি বছরের ১ অক্টোবর থেকে অবশ্যই বিজ্ঞাপনদাতা এবং অন্যান্য গ্রাহকের কাছ থেকে কর আদায় করতে হবে প্রতিষ্ঠানগুলোকে।
বিষয়টি নিয়ে তাৎক্ষণিক কোনো মন্তব্য করেনি প্রতিষ্ঠানগুলো।
নতুন ভ্যাট নীতিমালার আওতায় যে বিদেশি প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলো ইন্দোনেশিয়ায় পণ্য বা সেবা বিক্রি করে বছরে অন্তত ৬০ কোটি ইন্দোনেশীয় রুপি বা ৪১ হাজার ৬৬৭ মার্কিন ডলার আয় করে বা বছরে অন্তত ১২ হাজার গ্রাহকের কাছ থেকে আয় করে ওই প্রতিষ্ঠানগুলোকেই ১০ শতাংশ ভ্যাট দিতে হবে।