পোর্টল্যান্ডে অস্থিরতা, ডানপন্থী গোষ্ঠীর পেইজ নামালো ফেইসবুক

ডানপন্থী গোষ্ঠী ‘প্যাট্রিয়ট প্রেয়ার’ এর পেইজ ও দলটির প্রতিষ্ঠাতা জোয়ি গিবসনের অ্যাকাউন্ট নিজ প্ল্যাটফর্ম থেকে মুছে দিয়েছে ফেইসবুক।

প্রযুক্তি ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 5 Sept 2020, 04:33 PM
Updated : 5 Sept 2020, 04:33 PM

রয়টার্স উল্লেখ করেছে, অন্তত ডজন খানেক ‘প্রো-গান’ এবং ‘প্রো-ট্রাম্প’ সমাবেশ আয়োজন করেছিল প্যাট্রিয়ট প্রেয়ার পেইজটি।

যুক্তরাষ্ট্রের ওরিগান অঙ্গরাজ্যের পোর্টল্যান্ডে বাম পন্থী গোষ্ঠীর সঙ্গে সংঘর্ষেও জড়িয়েছিল প্যাট্রিয়ট প্রেয়ার। পরে দুর্বৃত্তের গুলিতে দলটির ৩৯ বছর বয়সী এক সমর্থক মারা যান। এর পরেই ব্যবস্থা নিয়েছে ফেইসবুক।

প্রতিষ্ঠানটির মুখপাত্র অ্যান্ডি স্টোন জানিয়েছেন, নিজেদের প্ল্যাটফর্ম থেকে “সহিংস সামাজিক মিলিশিয়া” সরানোর প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে মুছে দেওয়া হয়েছে পেইজটিকে।

প্যাট্রিয়ট প্রেয়ারের ওয়েবসাইটে দেওয়া এক বিবৃতিতে ফেইসবুকের বিরুদ্ধে দ্বৈত মান মেনে চলার অভিযাগ তুলেছেন দলটির প্রতিষ্ঠাতা জোয়ি গিবসন।

গিবসন লিখেছেন, “আমার বন্ধুকে বাসার দিকে হেঁটে আসার সময় আন্টিফা গোষ্ঠী হত্যা করেছে, কিন্তু ‘পোর্টল্যান্ড আন্টিফা’ পেইজ নিষিদ্ধ না করে ‘প্যাট্রিয়ট প্রেয়ার’, জোয়ি গিবসন এবং বয়স্ক কয়েকজন অ্যাডমিনকে নিষিদ্ধ করেছে প্রতিষ্ঠানটি।”

রয়টার্স উল্লেখ করেছে, আন্টিফা বেশ বড় এক উগ্র বামপন্থী আন্দোলন, যার কোনো আনুষ্ঠানিক কাঠামো নেই। এর অনুসারীরা যাকে কর্তৃত্ববাদী বা বর্ণবাদী মনে করে, তার মোকাবেলা করে।

এ সপ্তাহের শুরুতেও প্যাট্রিয়ট প্রেয়ার পেইজের প্রায় ৪৫ হাজার অনুসারী ছিল ফেইসবুকে। ২০১৭ সালে যাত্রা শুরু করেছিল পেইজটি।

গত সপ্তাহে ‘কেনোশা গার্ড’ নামের আরেকটি পেইজ মুছে দিয়েছিল ফেইসবুক। উইসকনসনের কেনোশা অঞ্চলে অস্ত্র হাতে নেওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছিল কেনোশা গার্ড পেইজটি থেকে। সেখানেও দুই জন মারা যাওয়ার পর ব্যবস্থা নিয়েছে সাইটটি। অথচ অভিযোগ আগেই পেয়েছিল তারা। 

বাজফিডের এক প্রতিবেদন বলেছে, অন্তত ৪৫৫ বার অভিযোগ এসেছিল কেনোশা গার্ড ইভেন্টকে নিয়ে। ফেইসবুকের এক কর্মী জানিয়েছিলেন, ওই দিনে ইভেন্টের ব্যাপারে আসা সব অভিযোগের ৬৬ শতাংশই ছিলো কেনাশো গার্ড অভিযোগ।       

পরে ফেইসবুক প্রধান মার্ক জাকারবার্গ বিষয়টিকে “পরিচালনা ত্রুটি” হিসেবে ব্যাখ্যা করেন। তিনি বলেন, “প্রাথমিকভাবে অভিযোগ হাতে পান ঠিকাদার ও পর্যালোচকরা, তারা অভিযোগ আমলে নেননি। পরে দ্বিতীয় পর্যালোচনায় স্পর্শকাতর বিষয় হওয়ায় এবং বিপজ্জনক সংস্থা শনাক্তের দায়িত্বে থাকা টিম নীতিমালা লঙ্ঘন টের পাওয়ায়, আমরা সেটি নামিয়ে নিয়েছিলাম।”