মিয়ানমারে নির্বাচন: নীতি ‘সংস্কার’ করছে ফেইসবুক

নভেম্বরে মিয়ানমারে সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। তার আগেই নিজেদের ‘বিদ্বেষমূলক বক্তব্য’ নীতি সংস্কারের কাজে হাত দিয়েছে ফেইসবুক।

প্রযুক্তি ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 1 Sept 2020, 04:20 PM
Updated : 1 Sept 2020, 04:20 PM

রয়টার্সের এক প্রতিবেদন বলছে, ‘বিদ্বেষমূলক বক্তব্য’র আরও উন্নত শনাক্তকরণ ও মুছে দেওয়া, এবং সহিংসতায় ইন্ধন যোগাবে ও ভুল তথ্য ছড়াবে এমন কনটেন্ট ঠেকানোর লক্ষেই নীতি সংস্কার করছে ফেইসবুক।

মিয়ানমারে ২০১৭ সালে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর উপর ভয়াবহ আক্রমণ করে দেশটির সামরিক বাহিনী। বাধ্য হয়ে প্রতিবেশী রাষ্ট্র বাংলাদেশে পাড়ি জমান সাত লাখ ৩০ হাজারেরও বেশি রোহিঙ্গা মুসলিম। জাতিসংঘের তদন্তকারীরা জানিয়েছেন,  বিদ্বেষমূলক বক্তব্যের প্রচারে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করেছিল ফেইসবুক, ওই প্রচারণা পরবর্তীতে সহিংসতায় ইন্ধন যোগায়।

সাম্প্রতিক এক ব্লগ পোস্টে ফেইসবুক জানিয়েছে, বর্তমান থেকে নভেম্বরের ২২ তারিখ পর্যন্ত ভোট দমাতে পারে বা নির্বাচনী প্রক্রিয়ার “অখণ্ডতা” ক্ষুন্ন করতে পারে এমন “প্রমাণিত ভুল তথ্য এবং অপ্রমাণিত গুজব” মুছে দেবে তারা।

“উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, কোনো পোস্টে যদি মিথ্যা দাবি করা হয় যে নির্বাচনী প্রতিদ্বন্দ্বী মিয়ানমারের নাগরিক নন, বাঙালি – তাহলে সে পোস্ট মুছে দেবে ফেইসবুক।” – ব্লগ পোস্টে লিখেছে মার্কিন এ সোশাল জায়ান্ট।

ফেইসবুক দীর্ঘদিন ধরেই ‘বিদ্বেষমূলক বক্তব্য’ নিয়ে কাজ করার কথা বলে আসছে।

মিয়ানমারের রাজনৈতিক দলগুলোর অফিশিয়াল ফেইসবুক পেইজ শনাক্তে দেশটির দুই অংশীদারের সঙ্গে কাজ করছে ফেইসবুক। এ ছাড়াও মিয়ানমারে প্রতিষ্ঠানটির তিন সত্যতা যাচাইকারী অংশীদার রয়েছে; ওই তিন অংশীদার হলো- বুম, এএফপি ফ্যাক্ট চেক এবং ফ্যাক্ট ক্রেসেন্ডো।

এ বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে মান বজায় রাখতে ব্যার্থ হওয়ায় মিয়ানমারে দুই লাখ ৮০ হাজার কনটেন্ট সরিয়েছে ফেইসবুক। হিসেবে বছরের প্রথম প্রান্তিকের চেয়ে ৫১ হাজার কনটেন্ট বেশি মুছেছে ফেইসবুক। 

নতুন এক ফিচারও এনেছে সোশাল প্ল্যাটফর্মটি। একটি বার্তা সর্বোচ্চ পাঁচ জনকে ফরোয়ার্ড করতে দেবে ফিচারটি। আপাতত ফিচারটি মিয়ানমারে দেওয়া হয়েছে। সামনে গোটা বিশ্বের মেসেঞ্জার ব্যবহারকারীদের জন্যও আনা হচ্ছে এটি।

নভেম্বরের ৮ তারিখে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে মিয়ানমারে। প্রায় অর্ধ শতকের সামরিক শাসনের পর এবার দ্বিতীয়বারের মতো গণতান্ত্রিক নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে দেশটিতে।

প্রথমবারের নির্বাচনে ২০১৬ সালে ক্ষমতায় আসে গণতান্ত্রিক পন্থার সমর্থক অং সাং সুচির দল ‘ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসি’ (এনএলডি)।