বাইরের বাতাস নাকের মাধ্যমে ফুসফুসে পৌঁছানোর আগেই তা ‘এইচইপিএ’ ধরনের এক জোড়া ফিল্টার ও তিনটি ফ্যানের মাধ্যমে পরিশোধিত হয়ে ভেতরে পৌঁছাবে।
প্রযুক্তিবিষয়ক সাইট এনগ্যাজেট উল্লেখ করেছে, স্বাভাবিকভাবে নিঃশ্বাস নিলেই ভেতরের ‘রেসপারেটরি সেন্সর’ তা শনাক্ত করবে, এবং কত দ্রুত নিঃশ্বাস নেওয়া হচ্ছে, কতটুকু পরিমাণে বাতাস ভেতরে যাচ্ছে তা বুঝে সে অনুযায়ী ফ্যানের গতি নির্ধারণ করবে।
একবারের চার্জেই এতে থাকা আটশ’ ২০ মিলিঅ্যাম্প আওয়ার ক্ষমতাসম্পন্ন ব্যাটারি টানা আট ঘণ্টা পর্যন্ত সেবা দিতে পারবে। কোনো রকমের কষ্ট ছাড়াই যাতে নিঃশ্বাস নেওয়া সম্ভব হয়, তা নিশ্চিত করতে ডিভাইসটিতে থাকবে নানাবিধ সিস্টেম।
মাস্কের ভেতরেই অতিবেগুণী রশ্মি সম্পন্ন এলইডি আলোর ব্যবস্থা রয়েছে। চার্জে থাকার সময়টিতে নিজেই থেকেই নিজ পৃষ্ঠের জীবাণুনাশ করবে ওই রশ্মি।
বৈদ্যুতিক এ বায়ু পরিশোধকটির সঙ্গে জুড়ে নেওয়া যাবে স্মার্টফোনও। ফলে স্মার্টফোনের মাধ্যমেই জেনে নেওয়া যাবে কোন কোন ফিল্টার পরিবর্তন করতে হবে। এলজি জানিয়েছে, ‘পিউরিকেয়ার ওয়্যারএবল এয়ার পিউরিফায়ার’-এর প্রতিটি উপাদান পরিবর্তনযোগ্য এবং পুনর্ব্যবহারযোগ্য।
এর দাম কত পড়তে পারে, সে ব্যাপারে এখনও কিছু জানা যায়নি। সেপ্টেম্বরে আইএফএ আয়োজনে এলজি’র সংবাদ সম্মেলনে এ ব্যাপারে বিস্তারিত তথ্য মিলতে পারে বলে জানিয়েছে এনগ্যাজেট।