প্লে মিউজিক বন্ধ করে গুগলের নজর ইউটিউব মিউজিকে

অক্টোবরের মধ্যে বন্ধ হয়ে যাবে গুগলের ‘প্লে মিউজিক’ সেবা। এর পরিবর্তে প্রতিষ্ঠানটি মনোনিবেশ করবে নিজেদের নতুন ‘ইউটিউব মিউজিক’ অ্যাপে।

প্রযুক্তি ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 5 August 2020, 12:18 PM
Updated : 5 August 2020, 12:18 PM

সেপ্টেম্বরে নিউজিল্যান্ড ও দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যবহারকারীদের জন্য গুগল প্লে মিউজিক বন্ধ করে দেবে বলে প্রতিবেদনে বলেছে প্রযুক্তিবিষয়ক সাইট দ্য ভার্জ। আর অক্টোবর নাগাদ বাদবাকি অঞ্চলে বন্ধ হয়ে যাবে সেবাটি। আর বিবিসি'র প্রতিবেদন বলছে, অক্টোবরে যুক্তরাজ্যে বন্ধ হচ্ছে গুগলের প্লে মিউজিক।

স্পটিফাই ও অ্যাপল মিউজিকের মতো গ্রাহক পায়নি গুগলের এ সেবাটি। লাখো অ্যান্ড্রয়েড ফোনে প্রি-ইন্সটলড অবস্থায় এবং ডিফল্ট মিউজিক অ্যাপ হিসেবে সেবাটি দেওয়া থাকলেও তেমন একটা জনপ্রিয়তা পায়নি এটি।

ইউটিউব মিউজিকের মাধ্যমে শ্রোতারা ছয় কোটিরও বেশি গান স্ট্রিম করতে পারবেন, কিন্তু কোনো গান কিনতে পারবেন না। এক বিশ্লেষক বলেছেন, গুগলের ইউটিউব ব্র্যান্ডে নজর দেওয়াটা “সঠিক কৌশল”।

“গুগল প্লে মিউজিক-এর সঙ্গে সমস্যার আংশিক ছিল ব্র্যান্ডিং। পুরো বার্তাটিই গোলমেলে। বেশ অনেকবার নাম বদলেছে তারা। এ ছাড়াও ‘গুগল প্লে অল অ্যাকসেস’, ‘ইউটিউব মিউজিক কি’ ছিল অ্যাপটিতে এবং গুগল যে এতে মনোযোগ দেয়নি তা ধরা পড়েছে। - বলেছেন এন্ডারস অ্যানালাইসিসের প্রযুক্তি প্রধান জোসেফ ইভানস।

গুগল মিউজিকের যাত্রা শুরু হয়েছিল ২০১১ সালে। ব্যবহারকারীদেরকে পছন্দের গান ক্লাউডে রাখার সুবিধা দিত অ্যাপটি, চাইলে বিদ্যমান গান তো বটেই, আরও গান কিনে রাখা যেত। পরে এসে নাম বদলে গুগল মিউজিক-কে ‘গুগল প্লে মিউজিক’ করা হয়। এতে ২০১৩ সালে জুড়ে দেওয়া হয় মিউজিক স্ট্রিমিং।

“আমরাই ছিলাম একমাত্র যারা আপনার সব মিউজিককে একটি জায়গায় করার সুযোগ দিয়েছিলাম।” – বলেছেন বর্তমান ইউটিউব মিউজিক সেবা প্রধান ব্র্যান্ডন বিলিনস্কি।

তবে, অনেকেরই এ সেবা তেমন একটা কাজে লাগেনি। স্বল্পবয়সী এবং স্বল্প সংখ্যক কয়েকজন গ্রাহক বাস্তবে ব্যবহার করেছেন সেবাটি। বাকিরা শুধু স্ট্রিমিং সেবা পেয়েই সন্তুষ্ট ছিলেন।

পরে ২০১৫ সালে আভ্যন্তরীন প্রতিদ্বন্দ্বী পণ্য হিসেবে বাজারে আসে ইউটিউব মিউজিক। “এটা বেশ কঠিন ছিল কারণ খুব অল্প প্রতিযোগিতার জায়গা ছিল যেখানে আপনি মনোযোগ দিতে পারেন।” – বলেছেন বিলিনস্কি।

দুই মিউজিক অ্যাপের টিমকে একত্রিকরণের কাজটি সম্পন্ন হয় ২০১৭ সালে। কোন মিউজিক অ্যাপটি সামনে এগোবে তা নিয়ে নিজেদের মধ্যে শুরু হয় আলোচনা। “আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি যে এটিকে শুধু ইউটিউবেই ভালো মানাবে।” – ব্যাখ্যা করেছেন তিনি।

অক্টোবরে বন্ধ হলেও যারা অ্যাপটি ব্যবহার করছেন, তারা ডিসেম্বর পর্যন্ত সময় পাবেন প্লেলিস্ট স্থানান্তর ও নিজেদের কেনা গান ইউটিউবে নিয়ে যাওয়ার জন্য।