গার্ডিয়ানের এক প্রতিবেদনের আলোকে চলুন জেনে নেই এরকম পাঁচ ধরনের রোবট সম্পর্কে –
১. বস্টন ডায়ানামিক্স
বস্টন ডায়ানামিক্সের তৈরি রোবট ‘ডগ’ মাঠে নেমেছিল সিঙ্গাপুরের পার্কে ঘুরতে আসা মানুষকে নিরাপদে রাখার লক্ষ্যে। কুকুর আকৃতির দেখতে এ রোবটটিতে ছিল একাধিক ক্যামেরা ও সেন্সর। এগুলোর সাহায্যে নিয়ম ভঙ্গকারীকে শনাক্ত করে আগে থেকে রেকর্ড করে রাখা সতর্কবার্তা শোনাতো রোবটটি।
২. স্টারশিপ টেকনোলজিস
মিল্টন কিস-এ মাঠে নেমেছিল স্টারশিপ টেকনোলজিসের তৈরি ছয় চাকার রোবট। খাবার সরবরাহ ও আটকে পড়া বাসিন্দাদের ছোটখাট সুপারমার্কেট শপিং করে দিয়ে সাহায্য করেছে রোবটটি। শহরটিতে আগে থেকেই সাইকেল চলাচলের পথ থাকায় সুবিধা হয়েছিল। নির্বিঘ্নে ওই পথেই যাতায়াত করেছে রোবটটি। সংকট চলাকালীন ন্যাশনাল হেলথ সার্ভিস বা এনইএচএস কর্মীদের কাছ থেকে কোনো সরবরাহ চার্জ নেয়নি স্টারশিপ টেকনোলজিস।
৩. ইউভিডি রোবটস
চীনা হাসপাতালে নেমেছিল ড্যানিশ ‘ইউভি ডিসইনফেকশন রোবট’। হাসপাতালে এই রোবটগুলো শক্তিশালী ইউভি রশ্মি দিয়ে ডিএনএ, আরএনএ বা পরিসীমায় থাকা অনুজীব ধ্বংসের কাজ করেছে। এ ধরনের কাজের সময় স্বাস্থ্য নিরাপত্তার জন্য মানুষের আশপাশে উপস্থিত থাকা উচিত নয়। আর তাই রোবটগুলোকে হাসপাতালের নকশা শিখিয়ে দেওয়া হয়েছিল, যাতে কর্মীরা যখন উপস্থিত না থাকে, তখন যাতে স্বয়ংক্রিয়ভাবে রোবটটি কাজ করতে পারে।
৪. জোরা বটস
পূর্ব আফ্রিকার দেশ রোয়ান্ডায় করোনাভাইরাস মোকাবেলায় বেলজিয়ান প্রতিষ্ঠান জোরা বটসের তৈরি পাঁচটি রোবট নামিয়েছিল জাতিসংঘ। রোগীদের তাপমাত্রা নেওয়া, মাস্ক না পড়লে শনাক্ত করতে পারা, রোগীদের অবস্থা বিবেচনা করতে পারার মতো কাজগুলো করেছে এ রোবটগুলো। আক্রান্তদেরকে ওষুধ ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যাদিও পৌঁছে দিয়েছে তারা।
৫. ওমনিল্যাবস
মহামারীর এই সময়ে নিজেদের বিকল্প হিসেবে বিভিন্ন স্থানে ওমনিল্যাবসের রোবট পাঠাচ্ছেন লোকজন। এ ধরনের ‘টেলিপ্রেজেনস’ ধাঁচের রোবটের বেলায় দূর থেকে বসেই রোবটের মুখের জায়গায় ব্যবহৃত ট্যাবলেট ও ক্যামেরার সাহায্যে জুম কলে সংযুক্ত থাকা যায় ও রোবট নিয়ন্ত্রণ করা যায়। এভাবে জাপানে সমাবর্তন নিয়েছেন একদল জাপানি শিক্ষার্থী। একই কাজ করেছেন চীনা চীনের শিক্ষার্থীরাও।