ইউক্রেনের বাইরের এই সাইটটির কানাডাসহ ভিন্ন ভিন্ন দেশে মিরর ওয়েবসাইট রয়েছে। ২০১৭ সালে যাত্রা শুরু করেছিল কিস লাইব্রেরি। অ্যামাজন, পেঙ্গুইনের মতো খ্যাতনামা প্রকাশকদের দায়ের করা মামলায় দাবি, কিস লাইব্রেরির মতো বড় বাণিজ্যিক ‘পাইরেট অপারেশন’ এর আগে দেখেননি তারা। -- খবর গুড ইরিডারের।
“গত দশকে, এবং বিশেষ করে গত কয়েক বছরে, অথর্স গিল্ডের কাছে আসা পাইরেসি অভিযোগের সংখ্যা অনেক বেড়েছে, ফলে আমরা আর বসে থাকতে পারি না এবং কিস লাইব্রেরির মতো স্বত্ত্বাকে বই পাইরেসি করতে দিতে পারি না”। - বলেছেন বদীদের একজন অথর্স গিল্ডের প্রেসিডেন্ট ডৌগ প্রেস্টন।
“শুধু আমাদের জন্য নয়, হাজারো লেখক যারা বই লিখতে বছরের পর বছর শ্রম দেন, নিজ অন্তর ও আত্মা প্রতিটি বাক্যের সঙ্গে জুড়ে দেন, এবং পরে দেখেন তাদের আয় নিয়ে যাচ্ছে বই পাইরেসি, তাদের পক্ষ থেকেও মামলাটি করেছি আমরা”। - বলেছেন তিনি।
“অ্যামাজন পাবলিশিং এবং পেঙ্গুইন র্যান্ডম হাউজ আমাদের সঙ্গে যোগ দেওয়ার জন্য আমরা সত্যিই কৃতজ্ঞ, অনেক গ্রন্থকারেরই ফেডারেল আদালতে মামলা লড়ার মতো আর্থিক সম্পদ নেই, বিশেষ করে কিস লাইব্রেরির মতো বিদেশি প্রতিদ্বন্দ্বীর বেলায়”। - বলেছেন অথর্স গিল্ডের নির্বাহী পরিচালক মেরি রেজেনবার্গার।
নিয়েলসন অ্যান্ড ডিজিমার্ক-এর ২০১৭ সালের এক গবেষণা বলছে, যুক্তরাষ্ট্রে অবৈধ বই ডাউনলোডের কারণে প্রতিবছর ইবুক বিক্রি থেকে ৩১ কোটি ৫০ লাখ ডলার হারিয়ে যায়। বৈধ বই বিক্রিতে প্রায় ১৪ শতাংশের মতো প্রভাব ফেলে। ২০১৭ সালে গবেষণাটি প্রকাশিত হওয়ার পর পাইরেটেট ইবুক বিক্রেতার সংখ্যা উদ্বেগজনক হারে বাড়েনি।
“গত কয়েক বছরে আমরা এ ধরনের বিভিন্ন ধরনের ইবুক পাইরেসি সাইট বন্ধে কাজ করেছি। কিন্তু কিস লাইব্রেরি গুরুতর অপরাধী সংস্থা হওয়ায় সবসময়ই চ্যালেঞ্জ হিসেবে হাজির হয়েছে, নিজেদেরকে বৈধ সাইট পরিচয় দিয়ে বাণিজ্যিক বই বিক্রি করেছে। কিন্তু অনুমোদিত সাইটর মতো বই বিক্রির জন্য পয়সা না দিয়ে মার্কিন পাঠকদের কাছ থেকে আসা সব অর্থ নিজের কাছে রেখে দিয়েছে কিস লাইব্রেরি। একটি পয়সা-ও বইটির কারিগর গ্রন্থকার ও প্রকাশকের কাছে যায়নি”। - বলেছেন রেজেনবার্গার।