'ডিসকভার' থেকে ডনাল্ড ট্রাম্পকে সরিয়ে দিলো স্ন্যাপ

স্ন্যাপচ্যাটের ‘ডিসকভার’ অংশ থেকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্র্যাম্পের অ্যাকাউন্ট সরিয়ে দিয়েছে স্ন্যাপচ্যাট ডেভেলপার স্ন্যাপ। গত সপ্তাহে ট্রাম্পের করা মন্তব্যের কারণেই এমন পদক্ষেপ নিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।

প্রযুক্তি ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 4 June 2020, 11:01 AM
Updated : 4 June 2020, 11:01 AM

স্ন্যাপচ্যাটের ডিসকভার অংশ থেকে নতুন কনটেন্ট খুঁজে বের করতে পারেন ব্যবহারকারীরা। কিন্তু ডনাল্ড ট্রাম্পের গত সপ্তাহের মন্তব্য নিয়ে নারাজ স্ন্যাপচ্যাট। ওই কারণেই ডিসকভার অংশে থাকার যোগ্যতা হারিয়েছে মার্কিন প্রেসিডেন্টের অ্যাকাউন্টটি। -- খবর রয়টার্সের।

“আমরা এমন বক্তব্যকে ডিসকভারে বিনামূল্যের প্রচারণার মাধ্যমে বাড়তে দেবো না যা সহিংসতা এবং অবিচারে ইন্ধন যোগায়।” – এক বিবৃতিতে বলেছে প্রতিষ্ঠানটি।

স্ন্যাপ আরও বলেছে, “আমাদের সমাজে বর্ণবাদ সহিংসতা এবং অবিচারের কোনো জায়গা নেই এবং আমেরিকায় যারা শান্তি, ভালোবাসা, সমতা এবং সুবিচার খোঁজে তাদের সঙ্গে একত্রে দাঁড়িয়েছি আমরা”।

ঘোষণার পরপরই স্ন্যাপের শেয়ার দর ২.৪ শতাংশ কমেছে।

ট্রাম্পের স্ন্যাপচ্যাটে অ্যাকাউন্টের অধিকাংশ কনটেন্টই ক্যাম্পেইন কনটেন্ট। সাধারণত ট্রাম্প যে ধরনের কথাবার্তা বলে থাকেন টুইটারে, সেরকম কোনো কনটেন্ট নেই স্ন্যাপচ্যাটে। ট্রাম্পের স্ন্যাপচ্যাট অ্যাকাউন্ট বহাল তবিয়তেই থাকবে এবং কেউ চাইলে সার্চ অপশনের মাধ্যমে তা খুঁজে বের করতে পারবেন। - জানিয়েছে স্ন্যাপ।

স্ন্যাপচ্যাটের এ পদক্ষেপের সুযোগ নিতে ছাড়েননি ট্রাম্পের ডেমোক্রেটিক প্রতিদ্বন্দ্বী জো বাইডেন। নভেম্বরে মার্কিন নির্বাচনে ডেমোক্রেট প্রার্থী বাইডেন ভিডিও প্রকাশ করেছেন স্ন্যাপচ্যাটে। ওই ভিডিওতে তিনি হাসিমুখে বলেছেন, প্রেসিডেন্ট পদের জন্য মাঠে নামতে এবং “তারপরও স্ন্যাপচ্যাটে থাকতে পেরে” গর্বিত বোধ করছেন তিনি।

এক বিবৃতিতে ট্রাম্পের ক্যাম্পেইন ব্যবস্থাপক ব্র্যাড পারস্কেল জানিয়েছেন, ট্রাম্পের কনটেন্টকে দমন করে ও বাইডেনের কনটেন্টের প্রচারণা চালিয়ে নির্বাচনকে প্রভাবিত করার চেষ্টা করছে স্ন্যাপ।

জবাবে স্ন্যাপ বলছে, ডিসকভার অংশে বিভিন্ন রাজনৈতিক মতামত ঠাঁই পায়, এর মধ্যে রিপাবলিকান ও ডেমোক্রেট-ও থাকে।

গত সপ্তাহে ট্রাম্পের টুইটে ‘ফ্যাক্ট-চেক’ বা সত্যতা যাচাইকরণ লেবেল জুড়ে দিয়ে হোয়াইট হাউজের সঙ্গে বিতণ্ডতায় জড়িয়ে পড়েছে টুইটার। আবার একই পোস্টে ব্যবস্থা না নেওয়ায় সমালোচকদের তোপের মুখে পড়েছেন ফেইসবুক প্রধান মার্ক জাকারবার্গ।

ট্রাম্পের প্রশ্নবিদ্ধ পোস্টটিতে লেখা ছিল, “যখন লুট হওয়া শুরু হবে, তখন গুলি করা শুরু হবে”।

ট্রাম্পের কোন মন্তব্যকে “ইন্ধনমূলক” বিবেচনা করা হয়েছে তা সুনির্দিষ্টভাবে জানায়নি স্ন্যাপ। তবে প্রতিষ্ঠানটির প্রধান নির্বাহী এভান স্পিগেল রোববার কর্মীদের উদ্দেশ্যে পাঠানো এক মেমোতে জানিয়েছেন, বৈচিত্র্যমূলক কনটেন্টের উপর “ওয়াক দ্য টক” ও “আমেরিকায় বর্ণবাদ সহিংসতা এবং সুবিচার রীতি” পরিচালনা করবেন।