ট্রাম্প লড়াইয়ে টুইটার থেকে আলাদা ফেইসবুক: জাকারবার্গ

সামাজিক মাধ্যমগুলোকে দেয়া বেশকিছু আইনি সুরক্ষা প্রত্যাহারের লক্ষ্যে একটি নির্বাহী আদেশে স্বাক্ষর করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প। নিজ প্রতিষ্ঠানের সমর্থনে ফেইসবুক প্রধান মার্ক জাকারবার্গ দাবি করেন এক্ষেত্রে টুইটার থেকে ভিন্ন ফেইসবুক।

প্রযুক্তি ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 29 May 2020, 09:21 AM
Updated : 29 May 2020, 09:21 AM

জাকারবার্গ বলেন, “আমি মনে করি এক্ষেত্রে আমাদের টুইটার থেকে আলাদা নীতিমালা রয়েছে।”

বার্তা সংস্থা রয়টার্স বলছে, সেবার শর্ত না মানলে কনটেন্ট সরিয়ে ফেলে দুইটি সামাজিক মাধ্যমই। কিন্তু, জাকারবার্গের দাবি, “বাক স্বাধীনতা এবং মানুষকে তার কথা তুলে ধরতে সহায়তার ক্ষেত্রে অন্যান্য প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানের চেয়ে আমাদের অবস্থান মজবুত, যা অন্যদের থেকে আমাদেরকে আলাদা করছে।”

টুইটারসহ অন্যান্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের বিরুদ্ধে লাগাতার পক্ষপাতদুষ্টতার অভিযোগ করে আসা মার্কিন প্রেসিডেন্ট বুধবারই স্যোশাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মকে কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ এবং প্রয়োজনে বন্ধ করে দেয়ার হুমকি দিয়েছিলেন।

টুইটার নিজে থেকেই ট্রাম্পের দুটি টুইটে ‘তথ্যের সত্যতা যাচাই’ সংক্রান্ত ট্যাগ লাগিয়ে দেয়ার পর ক্ষুব্ধ ট্রাম্প বৃহস্পতিবার এ নির্বাহী আদেশে স্বাক্ষর করেন।

তার এই আদেশের ফলে ফেইসবুক ও টুইটারের মতো সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম তাদের প্ল্যাটফর্মে যেভাবে তদারকি করে, তার বিরুদ্ধে নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলোকে আইনী ব্যবস্থা নেয়ার সুযোগ করে দেবে।

স্বাক্ষরের সময় তিনি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম প্ল্যাটফর্মগুলো ‘অবারিত ক্ষমতা’ ভোগ করছে বলেও অভিযোগ করেছেন।

বিভ্রান্তিকর পোস্টে লেবেল দিয়ে থাকে ফেইসবুকও। তবে, রাজনীতিবিদদের পোস্ট পর্যালোচনা করে না প্রতিষ্ঠানটি। বেশ কিছু আইনপ্রণেতা এবং ডেমোক্রেট প্রেসিডেন্ট প্রার্থী জো বাইডেন বলেন, ফেইসবুকের এমন পদক্ষেপ অনলাইনে মিথ্যা ছড়াতে সহায়তা করে।

মিডিয়া অংশীদারদের মাধ্যমে সত্যতা যাচাই করে ফেইসবুক, যা টুইটার করে না। ফেইসবুক নিজে কিছু করে না বলেও দাবি করেছে প্রতিষ্ঠানটি।

সম্প্রতি ভুয়া তথ্য ছড়ানো বন্ধে আগের চেয়ে আক্রমণাত্মক ভূমিকায় দেখা গেছে জাকারবার্গকে। করোনাভাইরাস নিয়ে ভুয়া তথ্য ছড়াচ্ছে এমন অ্যাপগুলো ফেইসবুক থেকে সরানো হবে বলেও প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তিনি।