নিরাপত্তা উদ্বেগে জুম ব্যবহার নিষিদ্ধ করলো স্পেসএক্স!

“উল্লেখযোগ্য গোপনতা ও নিরাপত্তা উদ্বেগ”-এর কারণে নিজেদের সব কর্মীকে ভিডিও কনফারেন্সিং অ্যাপ জুম ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে ইলন মাস্ক নেতৃত্বাধীন প্রতিষ্ঠান স্পেসএক্স।

প্রযুক্তি ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 2 April 2020, 08:13 AM
Updated : 2 April 2020, 08:13 AM

অ্যাপটির নিরাপত্তার ব্যাপারে মার্কিন আইন প্রয়োগকারীরা সতর্কবার্তা জানানোর কয়েকদিনের মাথাতেই নিজ কর্মীদের জন্য নিষেধাজ্ঞা জারি করলো স্পেসএক্স। মার্চের ২৮ তারিখের এক ইমেইল বার্তায় সব কর্মীর উদ্দেশ্যে ওই নির্দেশনা জানায় প্রতিষ্ঠানটি। -- খবর রয়টার্সের।

“আমরা জানি, আমাদের অনেকেই এই টুলটি কনফারেন্স এবং মিটিংয়ের জন্য ব্যবহার করছেন। দয়া করে যোগাযোগের বিকল্প হিসেবে ইমেইল, টেক্সট বা ফোন ব্যবহার করুন”। - কর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেছে স্পেসএক্স। এ বিষয়টির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট দুই জন ব্যক্তি ওই ইমেইলের সত্যতা সম্পর্কে নিশ্চিত করেছেন।

তবে, রয়টার্সের পক্ষ থেকে অনুরোধ করা হলেও এ নিয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি স্পেসএক্স প্রতিনিধি।

এদিকে, মহাকাশ গবেষণায় মার্কিন সরকারি সংস্থা  নাসা-ও নিজ কর্মীদের জুম ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। নিষেধাজ্ঞা সম্পর্কে নিশ্চিত করেছেন মার্কিন মহাকাশ সংস্থাটির মুখপাত্র স্টেফানি শিয়েরহলজ।

সোমবারে এফবিআইয়ের বস্টন কার্যালয় থেকে জুম সম্পর্কে এক সতর্কবার্তা জারি করা হয়েছিল। ওই সতর্কবার্তায় জুম ব্যবহারকারীদেরকে সাইটটিতে মিটিং পাবলিক না করা এবং লিংক শেয়ার না করার ব্যাপারে পরামর্শ দেওয়া হয়। 

আদতে জুমের মাধ্যমে অনুষ্ঠিত স্কুল সেশনে অপরিচিতদের অনুপ্রবেশের মতো দুটি ঘটনা ঘটায় ওই সতর্কবার্তা জারি করেছিল এফবিআই। পরে মঙ্গলবারে তদন্তকেন্দ্রিক সংবাদ সাইট দ্য ইন্টারসেপটার জানায়, জুম ভিডিওতে মিটিংয়ে অংশগ্রহনকারীদের আলোচনা এন্ড-টু-এন্ড এনক্রিপশন প্রক্রিয়ায় সুরক্ষিত নয়, এবং চাইলে প্রতিষ্ঠানও আড়িপাততে পারবে যে কোনো সেশনে।

বর্তমানে অ্যাপ হিসেবে যুক্তরাজ্যে প্রথম এবং যুক্তরাষ্ট্রে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে জুম। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সরকার জনসাধারণকে করোনাভাইরাস সংক্রমণ এড়াতে বাসায় অবস্থান নিতে বলার পর জুমের ব্যবহার আগের তুলনায় অনেক বেড়েছে।

জনপ্রিয়তা বেড়ে যাওয়ার প্রশ্নের মুখোমুখিও হয়েছে জুম। এতো ব্যবহারকারীর চাপ সামাল দেওয়ার মতো সক্ষমতা অ্যাপটির আছে কিনা তা নিয়েও উঠেছে প্রশ্ন। প্রশ্নটি তুলেছেন নিউ ইয়র্কের অ্যাটর্নি জেনারেল লেটিশিয়া জেমস। মূলত সংশয় তৈরি হয়েছে অ্যাপটির ডেটা নিরাপত্তা ও সুরক্ষা মাপকাঠিকে ঘিরে।