প্রযুক্তি জায়ান্ট মার্কিন প্রতিষ্ঠানটির পক্ষ থেকে বলা হয়, উৎপাদন এবং বিক্রিতে প্রভাব পড়েছে, ফলে “বিশ্বজুড়ে আইফোনের সরবরাহ সাময়িকভাবে বাধাগ্রস্থ হবে।”
করোনাভাইরাস প্রতিষ্ঠানের আর্থিক আয়ে প্রভাব ফেলবে এমন ঘোষণা দেওয়া প্রথম মার্কিন প্রতিষ্ঠান অ্যাপল-- খবর বিবিসি’র।
চলমান প্রান্তিকে রেকর্ড ছয় হাজার সাতশ’ কোটি মার্কিন ডলার আয়ের ধারণা দিয়েছিলো প্রতিষ্ঠানটি। এতে তখন করোনাভাইরাসের প্রভাব উল্লেখ করা হয়নি।
অ্যাপলের পক্ষ থেকে বলা হয়, “মার্চ প্রান্তিকের জন্য আমরা আয়ের যে ধারণা দিয়েছি তা হয়তো পূরণ হবে না। সাধারণ অবস্থায় ফিরতে প্রত্যাশার চেয়ে বেশি সময় লাগবে।”
চীনে অ্যাপলের বেশিরভাগ বিক্রয় কেন্দ্র বন্ধ রাখা হয়েছে বা কম সময় খোলা রাখা হচ্ছে, ফলে পণ্য বিক্রি কম হবে বলেও জানিয়েছে অ্যাপল।
প্রতিষ্ঠানটি আরও বলেছে, “আমাদের আইফোন উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানের কারখানাগুলো হুবেই প্রদেশের বাইরে থাকায় এগুলো পুনরায় চালু করা হয়েছে। তবে প্রত্যাশার চেয়ে উৎপাদনের গতি কম।”
বিশ্লেষকদের ধারণা, করোনাভাইরাসের কারণে চীনে প্রথম প্রান্তিকে স্মার্টফোনের চাহিদা অর্ধেকে নামতে পারে। স্মার্টফোনের জন্য বিশ্বের সবচেয়ে বড় বাজার এখন চীন।
ওয়েডবাশ বিশ্লেষক ড্যানিয়েল আইভস বলেন, “আইফোনে করোনাভাইরাসের নেতিবাচক প্রভাব নিয়ে আমরা কয়েক সপ্তাহ ধরেই আলোচনা করছি, স্পষ্টভাবেই ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি সময়ে এর প্রভাব প্রত্যাশার চেয়েও গুরুতর।”
চীনে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৮৭৩ জনে। দেশটির জাতীয় স্বাস্থ্য কমিশনের তথ্য অনুযায়ী, দেশটির মূল ভূখণ্ডে আরও এক হাজার ৮৮৬ জনের শরীরে নতুন করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়েছে। আগের দিন নতুন রোগীর সংখ্যা ছিল দুই হাজার ৪৮ জন।
সব মিলিয়ে চীনে আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৭২ হাজার ৪৩৬ জনে। আর অন্তত ২৬টি দেশে এ ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ায় বিশ্বে আক্রান্তের সংখ্যা ৭৩ হাজার ছাড়িয়ে গেছে।