সাংবাদিক ও সত্যতা যাচাইয়ের কাজ করে থাকেন এমন ব্যক্তিবর্গের কথা মাথায় রেখেই টুলটি তৈরি করেছে অ্যালফাবেট। ডিপফেক বা এ জাতীয় বিকৃতির ভুয়া ছবি শনাক্ত করতে সাহায্য করবে টুলটি। প্রকল্পটি অ্যালফাবেটের জিগস’ (Jigsaw) বিভাগের অধীনে সম্পন্ন হয়েছে। -- খবর প্রযুক্তিবিষয়ক সাইট সিনেটের।
ভুল তথ্য, হয়রানি, সেন্সরশিপ, সহিংস মৌলবাদ, নির্বাচনে প্রভাব ইত্যাদি সমস্যার ডিজিটাল দিকগুলোকে ঠেকাতে প্রকৌশলী, নকশাকারী, গবেষক, নীতিমালা বিশেষজ্ঞ এবং অন্যান্যদের একটি সমন্বিত টিম তৈরি করেছে অ্যালফাবেট। এরই মধ্যে সংবাদ ও সত্যতা-যাচাইকারী সংস্থাগুলো অ্যালফাবেটের ‘অ্যাসেম্বলার’ টুলটি পরীক্ষা করে দেখেছে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে সিনেট।
‘অ্যাসেম্বলার’ পরীক্ষাকদের মধ্যে রয়েছে এএফপি, অ্যানিমাল পলিটিকো, কোড ফর আফ্রিকা, লে ডেকোডিউরস দ্যো’ মঁদ এবং র্যাপলারের মতো সংস্থাগুলো – মঙ্গলবার এক ব্লগপোস্টে জানিয়েছেন জিগস’ প্রধান নির্বাহী জ্যারেড কোহেন।
“নতুন বিকৃতি প্রযুক্তির হাত থেকে রেহাই পেতে এবং ছবি ও অন্যান্য সম্পদের সত্যতা পরীক্ষা করতে, সত্যতা যাচাইকারী ও সাংবাদিকদের সবসময় এক ধাপ এগিয়ে থাকা প্রয়োজন।” – বলেছেন কোহেন।
তবে, সত্যতা যাচাইকারী ও সাংবাদিকরা ‘অ্যাসেম্বলার’ টুলটি ব্যবহার করতে পারলেও, এখনও সাধারণের নাগালের বাইরেই রাখা হয়েছে টুলটিকে।
এ প্রসঙ্গে জিগস’র পণ্য ব্যবস্থাপক সান্তিয়াগো আন্দ্রিগো এক বিবৃতিতে বলেছেন, “সমস্যা ও দুর্বৃত্তদের ঠেকাতে যে টুল ব্যবহার করা হচ্ছে তা নিয়ে সময়ে সময়ে পাঞ্জা লড়তে হচ্ছে টুল নির্মাতাদের। এ বিষয়টি ভেবে, আমরা অ্যাসেম্বলারের প্রবেশাধিকার ও ব্যবহারের উদ্দেশ্য নিয়ে আরও সতর্কতা অবলম্বন করছি এবং অপব্যবহার হচ্ছে কিনা তা নজরে রাখছি।”