এ প্রসঙ্গে এক টুইট বার্তায় ডরসি লিখেছেন, “আমি ডাকডাকগো ভালোবাসি। বেশ অনেকদিন ধরেই ডিফল্ট সার্চ সেবা হিসেবে এটি ব্যবহার করছি। এর অ্যাপটিতো আরও দারুণ।” ডরসির ওই টুইট বার্তার জবাব দিয়েছে ডাকডাকগো পরিবার। দল ভারী হওয়ার আনন্দটি টু্ইটার প্রধানের সঙ্গেই ভাগাভাগি করে নিয়েছে তারা। - খবর বিজনেস ইনসাইডারের।
ডাকডাকগো’র অফিশিয়াল টুইটার অ্যাকাউন্ট থেকে লেখা হয়েছে, “শুনে খুব ভালো লাগলো জ্যাক। তোমাকে আমাদের পাশে পেয়ে আমরা আনন্দিত।”
গোপনতাকে কেন্দ্রবিন্দুতে রেখে ২০০৮ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় সার্চ সেবা ডাকডাকগো। আর দশটি অন্য সার্চ সেবার মতো ব্যবহারকারীদের প্রোফাইল তৈরি করে না সেবাটি। বিজ্ঞাপনের জন্য তো বটেই, বিশেষ সার্চ ফলাফলের জন্যও প্রোফাইল তৈরির বিরোধী ডাকডাকগো। আর তাই হয়তো নিজেদের ট্যাগলাইনে প্রতিষ্ঠানটি লিখে রেখেছে, ‘গোপনতা, সহজতর।’
অন্যদিকে, প্রতিদ্বন্দ্বী সার্চ সেবা গুগলের পুরো ব্যবসায়িক কাঠামোটিই বিজ্ঞাপন নির্ভর। সবাইকে বলে-কয়েই ব্যবহারকারীদের প্রোফাইল তৈরি করে মার্কিন সার্চ জায়ান্ট এ প্রতিষ্ঠানটি। নিজেদের এমন ব্যবসা নীতির কারণে ইউরোপ ও যুক্তরাষ্ট্রে একাধিকবার তদন্তের মুখেও পড়েছে গুগল।
প্রকাশ্যে অন্য প্রযুক্তি জায়ান্টের ব্যাপারে মন্তব্য করা জ্যাক ডরসির জন্য নতুন কিছু নয়। প্রতিদ্বন্দ্বী প্রতিষ্ঠান ফেইসবুক’কে তো সুযোগ পেলেই এক হাত নেন ডরসি। কিছুদিন আগেও টুইট করেছিলেন ফেইসবুকের নতুন লোগো প্রসঙ্গে।
তবে ডরসি যা-ই বলুন না কেন, ব্যবহারকারীর হিসেবে গুগলের চেয়ে অনেক পিছিয়ে রয়েছে ডাকডাকগো। নভেম্বরের অ্যালেক্সা র্যাংকিংয়ের হিসেব অনুযায়ী, ১৮৭তম অবস্থানে রয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।