রাশিয়ান ‘বাটপারির’ শিকার ইরানী ‘চোরের’ দল

ইরানী হ্যাকার দলের ওপর আক্রমণ করে বিশ্বের একাধিক দেশের ডেটা হাতিয়ে নিয়েছে রাশিয়ান হ্যাকার দল। অন্তত ২০টি দেশের ডেটা হাতিয়ে নেওয়া হয়েছে ওই সাইবার আক্রমণে - জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের রাষ্ট্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। সাইবার হামলায় আক্রান্ত দেশগুলোর অধিকাংশই মধ্যপূর্ব এশিয়ার।

আজরাফ আল মূতীবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 21 Oct 2019, 08:20 AM
Updated : 21 Oct 2019, 08:21 AM

যুক্তরাজ্যের অ্যাকাডেমিক ইন্সটিটিউশনে হওয়া এক সাইবার আক্রমণের তদন্ত করতে গিয়ে এই ‘চোরের ওপর বাটপারির’ বিষয়টি জানতে পেরেছে দেশটির গোয়েন্দা সংস্থা জিসিএইচকিউ-এর সুরক্ষা বিভাগ ন্যাশনাল সাইবার সিকিউরিটি সেন্টার (এনসিএসসি)- বলা হয়েছে বিবিসির প্রতিবেদনে।

২০১৭ সালে শুরু হওয়া ওই তদন্তে জানা গেছে, প্রথমে ইরানভিত্তিক হ্যাকার দল ‘অয়েলরিগ’ বেশ কিছু দেশের ডেটা হাতিয়ে নেওয়ার জন্য সাইবার আক্রমণ শুরু করে। কিন্তু পরে তাদেরকেই লক্ষ্য করে আক্রমণ চালায় রাশিয়ান হ্যাকার দল ‘টার্লা’। ইরানী হ্যাকারদের চুরি করা ডেটা হাতিয়ে নেওয়ার পাশাপাশি তাদের হ্যাকিং টুলস ও প্রবেশাধিকার ব্যবহার করে আরও বড় পরিসরের হামলা চালায় রাশিয়ান ওই হ্যাকাররা। ওই সাইবার হামলার শিকার হয় বিশ্বের ৩৫টিরও বেশি দেশ, আর এতে ডেটা হারিয়েছে অন্তত ২০টি দেশ।

এনসিএসসি জানিয়েছে, ব্যক্তিগত ও সরকারি গোপন তথ্য-নথি হাতিয়ে নেওয়ার লক্ষ্যেই সাইবার হামলাটি চালানো হয়েছিল। রাশিয়ান হ্যাকাররা চেয়েছিল ওই সাইবার হামলার দায়ভার ইরানী হ্যাকারদের ওপর চাপিয়ে দিতে। এদিকে বিবিসি বলছে, রাশিয়ান হ্যাকারদের সাইবার আক্রমণের ব্যাপারটি ইরানী হ্যাকাররা টের পেয়েছিলেন কিনা সে বিষয়ে কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি।

‘এ ধরনের আক্রমণ আগে দেখা যায়নি’ মন্তব্য করে এনসিএসসি’র পরিচালক পল চিচেস্টার বলেছেন, সাইবার আক্রমণের পরিধি অনেক বেড়ে গেছে এবং জটিল হয়ে উঠেছে।

“আমরা পরিষ্কারভাবে জানাতে চাই, সাইবার অপরাধীদের চিহ্নিত করার মতো ক্ষমতা আমাদের রয়েছে।”

বিবিসি’র প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, দুটি হ্যাকার দলই নিজ নিজ দেশের সরকারের সঙ্গে যোগসাজশ রেখে চলে। এর আগে ইরানী অয়েলরিগের সঙ্গে ইরান সরকারের এবং রাশিয়ার টার্লার সঙ্গে রাশিয়ান নিরাপত্তা সংস্থা এফএসবি’র যোগসাজশ খুঁজে পাওয়া গেছে। তবে বিষয়টি নিয়ে সরাসরি কিছু জানায়নি এনসিএসসি। তদন্তটি প্রাথমিক পর্যায়ে যুক্তরাজ্য এককভাবে করলেও, তদন্ত পাওয়া ফলাফল যৌথভাবে প্রকাশ করেছে যুক্তরাজ্যের এনসিএসসি ও যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল সিকিউরিটি এজেন্সি (এনএসএ)।