আধুনিক প্রযুক্তির এই গাড়িগুলো অনেক নীরব হওয়ায় পথচারীরা রাস্তায় চলার সময় এর শব্দ শুনতে পারে না বলে এটি তাদের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে। এ কারণে নতুন এই আইন চালু করেছে ইইউ-- খবর বিবিসি’র।
নীতিমালা অনুসারে নতুন চার চাকার বৈদ্যুতিক গাড়িতে শব্দ করার ডিভাইস থাকা বাধ্যতামূলক। প্রথাগত ইঞ্জিনের মতোই শব্দ করবে এটি।
গাড়ির এই ডিভাইসটিকে বলা হচ্ছে ‘অ্যাকিউস্টিক ভেহিকল অ্যালার্ট সিস্টেম’ (এভাস)। গাড়ি পেছনে বা সামনের দিকে ঘন্টায় ১৯ কিলোমিটারের কম গতিতে চলার সময় অবশ্যই শব্দ করতে হবে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।
ইইউয়ের পক্ষ থেকে বলা হয়, চালক যদি জরুরী মনে করেন তাহলে তিনি ডিভাইসটি বন্ধও করে রাখতে পারবেন।
দাতব্য সংস্থা গাইড ডগস অভিযোগ করে আসছিলো যে এই গাড়িগুলো আসার সময় কোনো শব্দ পাওয়া যায়না। নীতিমালায় এই পরিবর্তনকে স্বাগত জানিয়েছে তারা। তবে বৈদ্যুতিক গাড়ির সব গতিতেই শব্দ হওয়া উচিত বলেও মনে করে সংস্থাটি।
ব্রিটিশ সড়ক মন্ত্রী মাইকেল এলিস বলেন, সরকারের চাওয়া “পরিবেশবান্ধব যাতায়াত ব্যবস্থার উপকার যাতে সবাই বুঝতে পারে।” আর সরকার দৃষ্টি প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের উদ্বেগের বিষয়টিও বুঝতে পেরেছে।
“নতুন নীতিমালা পথচারীদেরকে রাস্তা পারাপারে আরও সহায়ক হবে,” যোগ করেন এলিস।
২০২১ সাল থেকে নতুন সব বৈদ্যুতিক গাড়িতেই এভাস থাকা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে, শুধু নতুন মডেল না।
২০৪০ সালের মধ্যে জীবাশ্ম জ্বালানিচালিত নতুন গাড়ি এবং ভ্যান বিক্রিতে নিষেধাজ্ঞার ঘোষণাও দিয়েছে ব্রিটিশ সরকার।
মে মাসে নতুন গাড়ির বাজারে জীবাশ্ম জ্বালানি ছাড়া অন্য শক্তিচালিত গাড়ির সংখ্যা ছিলো ৬.৬ শতাংশ। এক বছর আগে একই মাসে এই হার ছিলো ৫.৬ শতাংশ।