তিনশ’ কোটি ভুয়া প্রোফাইল সরিয়েছে ফেইসবুক

প্রতিষ্ঠানের সর্বশেষ ‘এনফোর্সমেন্ট রিপোর্ট’ প্রকাশ করেছে ফেইসবুক। ২০১৮ সালের অক্টোবর হতে ২০১৯ সালের মার্চ মাস পর্যন্ত কী পরিমাণ পোস্ট এবং অ্যাকাউন্টের ওপর পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে তার বিস্তারিত প্রকাশ করা হয়েছে এই প্রতিবেদনে।

প্রযুক্তি ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 24 May 2019, 10:00 AM
Updated : 24 May 2019, 10:00 AM

বিবিসি’র প্রতিবেদনে বলা হয়, এই ছয় মাসের মধ্যে তিনশ’ কোটির বেশি ভুয়া অ্যাকাউন্ট সরিয়েছে ফেইসবুক, যা আগের যে কোনো সময়ের চেয়ে বেশি।

ভুয়া অ্যাকাউন্টের পাশাপাশি এই সময়ের মধ্যে রেকর্ড ৭০ লাখ “ঘৃণামূলক বক্তব্যের” পোস্ট সরিয়েছে বিশ্বের সবচেয়ে বড় সামাজিক মাধ্যমটি।

কী পরিমাণ মুছে ফেলা পোস্টের জন্য আপিল করা হয়েছে এবং যাচাইয়ের পর তা অনলাইনে ফেরত আনা হয়েছে তাও প্রথমবারের মতো জানিয়েছে ফেইসবুক।

বৃহস্পতিবার ফেইসবুকে ভেঙ্গে ফেলা নিয়ে সাম্প্রতিক আলোচনার বিপক্ষে কথা বলেছেন প্রতিষ্ঠান প্রধান মার্ক জাকারবার্গ।

জাকারবার্গ বলেন, “আমি মনে করিনা প্রতিষ্ঠান ভেঙ্গে ফেলার মাধ্যমে সমস্যার সমাধান করা যাবে।”

“প্রতিষ্ঠানের সাফল্য আমাদেরকে এই উদ্যোগগুলোকে বিশাল পরিসরে তহবিল জোগাতে আমাদেরকে অনুমোদন দেয়। আমাদের নিরাপত্তা ব্যবস্থায় যে পরিমাণ বাজেট খরচ করা হয়, আমি বিশ্বাস করি তা এ বছর টুইটারের আয়ের চেয়েও বেশি।”

স্বয়ংক্রিয় ব্যবস্থার মাধ্যমে অসংখ্য অ্যাকাউন্ট তৈরি করায় ভুয়া অ্যাকাউন্ট সরানোর সংখ্যাও বেড়েছে বলে জানিয়েছে ফেইসবুক। এই অ্যাকাউন্টগুলোর মধ্যে বেশিরভাগই ক্ষতিকর উদ্দেশ্যে ব্যবহারের আগেই কয়েক মিনিটের মধ্যে মুছে ফেলা হয়েছে।

মাদক এবং বন্দুকের মতো মালামাল বিক্রির জন্য কী পরিমাণ পোস্ট সরানো হয়েছে তাও জানাবে ফেইসবুক। ছয় মাসে বন্দুক বিক্রির দশ লাখের বেশি পোস্ট সরিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।

শিশু নির্যাতনের ছবি, সহিংসতা এবং সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের পোস্ট কী পরিমাণ গ্রাহক দেখেন তারও একটি ধারণা দিয়েছে ফেইসবুক। প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে বলা হয়, প্রতি ১০ হাজার কনটেন্টের মধ্যে ১৪ জন নগ্নতা দেখতে পারেন, ২৫ জন সহিংতা এবং তিন জনের কম শিশু নির্যাতনের ছবি দেখেন।

সার্বিকভাবে ফেইসবুকের সক্রিয় ব্যবহারকারীর মধ্যে পাঁচ শতাংশ অ্যাকাউন্ট ভুয়া।

এই প্রথমবারের মতো, ঘৃণামূলক পোস্টের জন্য সরিয়ে দেওয়া পোস্টগুলো নিয়ে ২০১৯ সালের জানুয়ারি থেকে মার্চে ১০ লাখেরও বেশি আবেদন পড়েছে বলেও প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।

এই সময়ের মধ্যে নীতিমালা লঙ্ঘন করেনি এমন প্রায় দেড় লাখ পোস্ট ফিরিয়ে আনা হয়েছে।

"আমাদের প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করছে এমন মানুষদের জন্য আরও জবাবদিহিতা ও দায়িত্বশীলতা তৈরিতে যে জায়গাগুলো নিয়ে আমরা আরও উন্মুক্ত হতে পারি" প্রতিবেদনে সেই জায়গাগুলোতেই আলোকপাত করা হয়েছে বলে ভাষ্য ফেইসবুকের।