কর্মপরিবেশ: ক্ষমা প্রার্থনা ও ক্ষতিপূরণ স্যামসাংয়ের

চিপ ও ডিসপ্লে তৈরির স্থানীয় কারখানায় কাজের কারণে অসুস্থ হয়ে যাওয়া কর্মীদের ২০২৮ সালের মধ্যে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে দক্ষিণ কোরীয় ইলেকট্রনিক জায়ান্ট স্যামসাং।

প্রযুক্তি ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 24 Nov 2018, 08:19 PM
Updated : 24 Nov 2018, 08:19 PM

২০০৭ সালে স্যামসাংয়ের চিপ কারখানার এক কর্মী লিউকোমিয়ায় আক্রান্ত হয়ে মারা যান। এরপর থেকে প্রতিষ্ঠানটির কারখানাগুলোর কর্মপরিবেশ নিয়ে উদ্বেগ শুরু হয়। এ নিয়ে অসুস্থ কর্মীদের প্রতিনিধিত্ব করা একটি সংগঠন ও বিশ্বের শীর্ষ মেমোরি চিপনির্মাতা প্রতিষ্ঠানটির মধ্যে বিবাদ শুরু হয়। স্যামসাংয়ের সর্বশেষ এই পদক্ষেপের ফলে এক বছর ধরে চলে আসা এই বিবাদের মীমাংসা হলো।

ওই সংগঠনের সঙ্গে চুক্তি সইয়ের অনুষ্ঠানের এ বিষয়ে প্রকাশ্যে ক্ষমা চান স্যামসাং প্রধান নির্বাহী কিম কি-নাম। তিনি বলেন, “আক্রান্ত কর্মী আর তাদের পরিবারের সদস্যরা যে যন্ত্রণার মধ্যে দিয়ে গিয়েছেন তা বুঝতে আমাদের চেষ্টা যথেষ্ট ছিল না।”

এই মামলায় চলতি মাসের শুরুতে মধ্যস্থতা প্যানেলের দেওয়া সিদ্ধান্ত অনুযায়ী স্যামসাং প্রত্যেক সাবেক ও বর্তমান কর্মীকে কাজের কারণে হওয়া অসুস্থতার জন্য ১৫ কোটি ওন করে পরিশোধ করবে। অসুস্থতা যদি ক্ষতিকর রাসায়নিকের কারণে হয়েছে বলে জানা যায় তখন এটি দেওয়া হবে বলেও উল্লেখ করা হয়েছে রয়টার্স-এর প্রতিবেদনে।   

১৯৮৪ সাল থেকে এখন পর্যন্ত স্যামসাংয়ের যত সাবেক ও বর্তমান কর্মী ও প্রতিষ্ঠানটি ঠিকাদাররা যারা এর সেমিকন্ডাকটর ও ডিসপ্লে উৎপাদন কারখানায় এক বছরেরও বেশি সময় ধরে কাজ করেছেন বা করছেন তারা এর আওতায় পড়বেন।

কিম বলেন, চলতি মাসের মধ্যে প্রতিষ্ঠানটির ওয়েবসাইটে একটি ক্ষমাপ্রার্থনামূলক বিবৃতির সঙ্গে এই ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নীতিমালা প্রকাশ করা হবে। কোনো কর্মী এই ক্ষতিপূরণ পাওয়ার যোগ্য কিনা তা সিউলভিত্তিক কোনো স্বাধীন আইনি সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান যাচাই করবে।

স্যামসাংয়ের কারখানায় কাজ করার পর প্রায় দুইশ’ কর্মী অসুস্থ হয়ে পড়েছেন আর তাদের মধ্যে ৭০ জন পরে মারা গিয়েছেন বলে দাবি করেছে দক্ষিণ কোরীয় প্রচারণা সংগঠন শার্প।

লিউকোমিয়ায় মারা যাওয়া চিপ কারখানা কর্মীর বাবা ও শার্প-এর প্রতিষ্ঠাতা হোয়াং স্যাং-কি সংবাদমাধ্যমটিকে বলেন, ওই দুইশ’ জন ছাড়াও আরও কর্মী এই ক্ষতিপূরণ পাবেন বলে আশা করা হচ্ছে। তবে এই কারখানার কর্মপরিবেশের সরাসরি প্রভাবেই তাদের অসুস্থ হওয়ার বিষয়টি যাচাইয়ে দীর্ঘ মেডিকেল প্রক্রিয়ার দরকার হবে।

মোট ক্ষতিপূরণের অংকটা কতো হবে তা নিয়ে স্যামসাং বা শার্প কেউ কোনো বিস্তারিত তথ্য প্রকাশ করেনি।