ভারতের নয়া দিল্লিতে অবস্থিত অল ইন্ডিয়া ইনস্টিটিউট অফ মেডিকেল সায়েন্সেস-এর গবেষকদের গবেষণায় জানা যায়, ২০১১ সালের অক্টোবর থেকে ২০১৭ সালের নভেম্বর পর্যন্ত সেলফি তোলার চেষ্টায় বিশ্বব্যাপী ২৫৯ জন মারা গিয়েছেন।
এই গবেষণার জন্য গবেষকরা ‘সেলফি ডেথস’ বা ‘সেলফি অ্যাকসিডেন্টস’-এর মতো কিওয়ার্ড নিয়ে সার্চ করেন। সেইসঙ্গে বিশ্বব্যাপী ইংরেজি পত্রিকাগুলোর তালিকা ধরেও সন্ধান চালান তারা। তারপর তারা পত্রিকাগুলো থেকে পাওয়া প্রতিবেদন ও কিওয়ার্ড সার্চিং থেকে পাওয়া তথ্যগুলো মিলিয়ে নেন বলে উল্লেখ করা হয়েছে মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনবিসি’র প্রতিবেদনে।
গবেষণার ফলাফলে দেখা যায়- সেলফি তুলতে গিয়ে মৃত্যুর খবরের সংখ্যা ২০১১ সালে ছিল মাত্র দুইটি; ২০১৬ সালে তা বেড়ে ৯৮ হয়ে যায়। ২০১৭ সালে অংকটা কিছুটা কমে ৯৩ হয়েছে।
এই গবেষণা প্রতিবেদনটি জার্নাল অফ ফ্যামিলি মেডিসিন অ্যান্ড প্রাইমারি কেয়ার-এ প্রকাশিত হয়েছে।
গবেষণায় বলা হয়, এই কারণে নিহতদের মধ্যে ৭২ শতাংশের বেশিই পুরুষ। সেলফি তুলতে গিয়ে মৃত্যুর ঘটনার ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি যে কারণ পাওয়া যায় তা হচ্ছে ডুবে যাওয়া।
গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়, “যদিও আমাদের গবেষণায় এখন পর্যন্ত সেলফির কারণে মৃত্যু হওয়ার সবচেয়ে বেশি সংখ্যক ঘটনা তালিকাভূক্ত হয়েছে তারপরও এটি বড় বরফখণ্ডের মাত্র দৃশ্যমান অংশটির মতো। অনেক ঘটনার খবর প্রকাশ হয়নি।”
জলাশয়, পর্বতচূড়া বা উঁচু দালানসহ ঝুঁকিপূর্ণ এলাকাগুলোকে ‘নো-সেলফি জোন’ বানানোর পরামর্শ দিয়েছেন গবেষকরা।
২০১৫ সালে প্রযুক্তি সাইট ম্যাশএবল-এর এক প্রতিবেদনে বলা হয়, হাঙ্গরের আক্রমণের শিকার হওয়ার চেয়ে সেলফি তোলার চেষ্টায় নিহত মানুষের সংখ্যা বেশি।