যৌনকর্মী পাচারের ‘সুযোগ দিচ্ছে’ ফেইসবুক

কমবয়সীদের যৌন ব্যবসায়ের ফাঁদে ফেলতে ফেইসবুক ব্যবহার করা হচ্ছে আর এ বিষয়টি প্ল্যাটফর্মটির কর্মকর্তারা জানেন, এমন অভিযোগ করে বিশ্বের সবচেয়ে বড় সামাজিক মাধ্যমটির বিরুদ্ধে মামলা করেছেন এক নারী। যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাস অধিবাসী ওই নারীর অভিযোগ একজন ফেইসবুক ‘বন্ধুর’ বেশে আসা ‘যৌনকর্মী সরবরাহের এক দালাল’-এর মাধ্যমে ১৫ বছর বয়সে তিনি ধর্ষণ, নিপীড়ন ও যৌনকর্মী হিসেবে পাচারের শিকার হয়েছিলেন।

প্রযুক্তি ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 3 Oct 2018, 11:38 AM
Updated : 3 Oct 2018, 11:38 AM

সোমবার হিউস্টন-এ হ্যারিস কাউন্টি ডিসট্রিক্ট কোর্ট-এ ওই মামলার নথি দাখিল করা হয়। এতে ওই নারীকে শুধু জেইন ডো নামে পরিচয় দেওয়া হয়। মামলায় আসামীদের তালিকায় বর্তমানে বন্ধ থাকা ব্যাকপেইজ ডটকম ও এর প্রতিষ্ঠাতাদের নামও উল্লেখ করা হয়েছে। বিভিন্ন শ্রেণিবদ্ধ বিজ্ঞাপনের সাইট ব্যাকপেইজ ডটকম-কে শিশু যৌনকর্মীদের বিজ্ঞাপন দেখানোসহ বিভিন্ন অভিযোগে বন্ধ কর দেওয়া হয়েছে।

নতুন এই মামলা নিয়ে মন্তব্যের জন্য ফেইসবুককে রয়টার্স-এর পক্ষ থেকে অনুরোধ করা হলেও সামাজিক মাধ্যমটি কোনো মন্তব্য করেনি বলে উল্লেখ করা হয়েছে সংবাদমাধ্যমটির প্রতিবেদনে। মন্তব্য আসেনি মামলায় উল্লেখিত ব্যাকপেইজ ডটকম-এর সাবেক কর্মী বা তাদের আইনজীবীদের পক্ষ থেকেও।

মামলার নথিতে থাকা তথ্যমতে, ওই নারীর সঙ্গে ২০১২ সালে ফেইসবুকে এক ব্যাক্তির ‘বন্ধুত্ব’ হয়। বাদীর বাস্তব জীবনের কয়েকজন বন্ধুর সঙ্গে পরিচয় রয়েছেন এমন ‘বেশে এসেছিলেন’ ওই ব্যক্তি, তিনি ওই নারীকে ফেইসবুকের মাধ্যমে মেসেজ পাঠিয়েছিলেন বলেও মামলায় উল্লেখ করা হয়। ওই মেসেজ দেখার কথা জানিয়েছে রয়টার্সও।

নথিতে আরও বলা হয়, আলাপচারিতার এক পর্যায়ে ওই নারী তার মায়ের সঙ্গে একটি বাক-বিতণ্ডার কথা জানানোর পর ওই ব্যক্তি তাকে স্বান্ত্বনা দেন। কিন্তু তাকে তার বাসা থেকে নিয়ে যাওয়ার পর ওই ব্যক্তি তাকে নিপীড়ন ও ধর্ষণ করেন, তার ছবি তুলে সেগুলো ব্যাকপেইজ ডটকম-এ পোস্টও করেন তিনি।

ফেইসবুক ওই যৌনকর্মী সরবরাহের দালালকে শনাক্ত করতে যথেষ্ট পদক্ষেপ নেয়নি বলে অভিযোগ করা হয়েছে। তার দেওয়া পরিচয় মিথ্যা ছিল আর সামাজিক মাধ্যমটিতে যৌনকর্মী পাচারকারীরা আছে এমন তথ্য জেইন ডো-কে ফেইসবুক দেয়নি বলেও উল্লেখ করা হয়েছে অভিযোগে।