সোমবার স্পেসএক্স-এর এক টুইট বার্তায় বলা হয়, “বিএফআর-এ চাঁদের চারদিকে ভ্রমণে যাওয়া প্রথম ব্যক্তিগত যাত্রী হলেন ফ্যাশন উদ্ভাবক ও বৈশ্বিকভাবে পরিচিত আর্ট কিউরেটর ইয়াসাকু মাইজাওয়া-- খবর আইএএনএস-এর।”
৪২ বছর বয়সী মাইজাওয়া জাপানের সবচেয়ে বড় ফ্যাশন রিটেইলার জোজো’র প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী।
ব্যবসার পাশাপাশি শিল্পকর্ম সংগ্রাহক ও কিউরেটর হিসেবে পরিচিত মাইজাওয়া। টোকিওতে তার নিজের ‘কনটেমপোরারি আর্ট ফাউন্ডেশনে’ প্রচুর শিল্পকর্ম রয়েছে। এর মধ্যে পাবলো পিকাসো, অ্যান্ডি ওয়ারল, অ্যালেক্সান্ডার কালডার এবং জঁ-মিচেল বাসকিয়া’র মতো শিল্পীর আঁকা ছবিও রয়েছে।
নিজের টুইটার ও ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টে মাইজাওয়া বলেন, চাঁদে ভ্রমণে যাওয়ার সময় বাছাই করা কিছু শিল্পীকে সঙ্গে নেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে তার। তিনি বলেন, “আমি শিল্পীদের সঙ্গে চাঁদের পাশে যেতে চাই।”এরপর “তারা কী দেখবেন? আর তারা কী তৈরি করবেন।”
ফোর্বস ম্যাগাজিনের তথ্যমতে জাপানের ১৮তম ধনী ব্যক্তি মাইজাওয়া। তার সম্পদের পরিমাণ বলা হয়েছে ২৯০ কোটি মার্কিন ডলার।
প্রতিষ্ঠানের নতুন বিগ ফ্যালকন রকেট (বিএফআর)-এ একজন নভোচারী ও একজন যাত্রী পরিবহন করা হবে। যাত্রীদের নিয়ে চাঁদের পথে ২৩৮৮৫৫ মাইল পাড়ি দেবে রকেটটি, যা এখনও তৈরি করা হচ্ছে।
নতুন বিএফআর রকেটটি বানাতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যাঞ্জেলেস-এ জমি ইজারা নিয়েছে স্পেসএক্স। ২০১৯ সালে এখান থেকেই রকেটটির পরীক্ষা শুরুর পরিকল্পনা রয়েছে প্রতিষ্ঠানটির।
শতভাগ পুনব্যবহারযোগ্য করেই নকশা করা হয়েছে রকেটটি। ফলে মহাকাশ যাত্রার খরচ অনেকটাই কমে যাবে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।
এই রকেটের মাধ্যমে পৃথিবীর ভেতরেও যেকোনো প্রান্তে এক ঘন্টার মধ্যে যাতায়াত করা যাবে বলে জানানো হয়েছে। সেক্ষেত্রে প্লেন ভাড়ার চেয়ে অনেক বেশি মূল্য দিতে হবে যাত্রীকে।