অবশ্য পরে পেইপ্যাল এই চিঠিকে “অনুভূতিহীন” হিসেবে আখ্যা দিয়েছে। প্রয়াত নারীর স্বামীর কাছে ক্ষমা চেয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। সেইসঙ্গে কীভাবে এই চিঠি গেল তা নিয়ে তদন্ত শুরু হয়েছে বলেও জানায় তারা।
প্রিয়জন হারানোয় শোকাগ্রস্থ ওই ব্যক্তি বিবিসি’র সঙ্গে যোগাযোগ করলে এই চিঠি আলোচনায় উঠে আসে। তিনি জানান, স্বয়ংক্রিয় মেসেজ কতোটা হতাশাজনক হতে পারে তা নিয়ে অন্যান্য প্রতিষ্ঠানকে সতর্ক করতে চেয়েছেন তিনি।
লিন্ডসে ডারডল নামের ওই নারীর স্তন ক্যান্সার ধরা পড়ে। পরবর্তীতে তার ফুসফুস আর মস্তিষ্কেও এই ক্যান্সার ছড়িয়ে পড়লে দেড় বছর পর ৩১ মে ৩৭ বছর বয়সে তিনি মারা যান।।
এই খবর প্রকাশের তিন মাস আগে পেইপ্যাল-কে হাওয়ার্ড ডারডল তার স্ত্রীর মৃত্যুর খবর জানান। পেইপ্যালের চাহিদা অনুযায়ী স্ত্রীর মৃত্যু সনদের কপি, তার উইল আর পরিচয়পত্র জমা দেন তিনি।
তারপর স্ত্রীর নামে আসা একটি চিঠি পান ডারডল। যুক্তরাজ্যের ওয়েস্ট বার্কশায়ার-এর বাকলবারি-তে নিজের বাড়িতে এই চিঠি পান তিনি। এই চিঠির শিরোনাম ছিল, “গুরুত্বপূর্ণ: আপনার এটি সতর্কভাবে পড়া উচিৎ।”
লিন্ডসে ডারডল-এর কাছ থেকে ওই প্রতিষ্ঠানের তিন হাজার দুইশ’ পাউন্ড পাওয়ার কথা উল্লেখ করে চিঠিতে বলা হয়, “যেহেতু আমরা আপনার মৃত্যুসংবাদ পেয়েছি তাই আপনি পেইপ্যাল ক্রেডিটের সঙ্গে করা চুক্তির ১৫.৪(সি) ধারা লঙ্ঘন করেছেন… এই লঙ্ঘনের প্রতিকার অসম্ভব।”
এই ঘটনাকে “গুরুত্বের সঙ্গে” দেখা হচ্ছে বলে ডারডল-কে জানিয়েছে পেইপ্যাল। সেইসঙ্গে লিন্ডসে ডারডল-এর ঋণ মওকুফ করে দেওয়া হয়েছে।
পেইপ্যালের এক মুখপাত্র বলেন, “এই চিঠির কারণে ডারডল যে বিষণ্ণতার শিকার হয়েছেন সে জন্য তার কাছে আমরা ক্ষমাপ্রার্থী।”
“আমরা জরুরীভাবে এই ঘটনা খতিয়ে দেখছি আর সরাসরি ডারডল-কে সমর্থন দিতে তার সঙ্গে যোগাযোগ করছি।”
ডারডল বলেন, পেইপ্যালের এক কর্মী তাকে তিন ধরনের সম্ভাব্য কারণে এমনটা হতে পারে বলে জানিয়েছেন। এগুলো হচ্ছে- কোনো ত্রুটি, কোনো বাজে চিঠির টেমপ্লেইট বা কোনো মানুষের করা ভুল। যে কারণেই হোক তা শনাক্ত করা হলে তাকে জানানো হবে, এমনটা নিশ্চিত হয়েছেন বলেও উল্লেখ করেন ডারডল। তবে পেইপ্যাল তাকে বলেছে, তারা এ তথ্য তার সঙ্গে শেয়ার করবে না কারণ এটি প্রতিষ্ঠানের “অভ্যন্তরীণ বিষয়।”