শুরু হচ্ছে বেসিস ন্যাশনাল আইসিটি অ্যাওয়ার্ডের দ্বিতীয় আসর

বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেসের (বেসিস) উদ্যোগে দ্বিতীয়বারের মতো আয়োজিত হতে যাচ্ছে বেসিস ন্যাশনাল আইসিটি অ্যাওয়ার্ডস।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 7 July 2018, 11:27 AM
Updated : 7 July 2018, 11:27 AM

এই আয়োজনের মাধ্যমে তথ্যপ্রযুক্তি খাতের উদ্যোক্তা ও প্রতিষ্ঠানগুলোকে স্বীকৃতি দেওয়ার মাধ্যমে বিজয়ীদের অ্যাপিকটা অ্যাওয়ার্ডসের জন্য মনোনীত করা হবে।

এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলের তথ্যপ্রযুক্তি খাতের বৃহত্তম সংগঠন এশিয়া প্যাসিফিক আইসিটি অ্যালায়েন্স (অ্যাপিকটা)।

এ অঞ্চলে তথ্যপ্রযুক্তি খাতের উন্নয়নের পাশাপাশি সম্ভাবনাময় ও সফল উদ্যোগ, সফটওয়্যার ও তথ্যপ্রযুক্তিনির্ভর সেবার স্বীকৃতি দিতে প্রতি বছর আয়োজিত হয় অ্যাপিকটা অ্যাওয়ার্ড।

২০১৫ সালে অ্যাপিকটার সদস্যপদ পায় বাংলাদেশ। এরপর বেসিস ২০১৭ সালের ৭ ডিসেম্বর প্রথমবারের মত এই অ্যাওয়ার্ডের আয়োজন করে।

চারদিনব্যাপী এই প্রতিযোগিতায় অ্যাপিকটাভুক্ত ১৮টি দেশ অংশ নিয়েছিল।

এ বছর ৯ অক্টোবর চীনের গুয়াংজুতে অনুষ্ঠিত হবে অ্যাপিকটার আসর। চলবে ১৩ অক্টোবর পর্যন্ত।

বেসিস ন্যাশনাল আইসিটি অ্যাওয়ার্ড বিতরণ উপলক্ষে শনিবার নিজ কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে।

এতে আয়োজন সম্পর্কে বিস্তারিত তুলে ধরেন আইসিটি অ্যাওয়ার্ডের আহ্বায়ক ও বেসিস পরিচালক দিদারুল আলম সানি।

তিনি জানান, আগামী ২০ জুলাই পর্যন্ত আইসিটি অ্যাওয়ার্ডের জন্য প্রকল্প জমা নেবে বেসিস।

মোট ৩৫টি ক্যাটাগরিতে ১০৫টি পুরস্কার দেওয়া হবে এই আয়োজনে।

প্রকল্প জমা নেওয়ার জন্য রয়েছে বিশেষ ক্যাটাগরি। পরে বিজয়ীদের মধ্য থেকে বেছে নেওয়া হবে কারা যাবেন অ্যাপিকটা অ্যাওয়ার্ডে।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বেসিস সভাপতি সৈয়দ আলমাস কবীর, জ্যেষ্ঠ সহ-সভাপতি ফারহানা এ রহমান, সহ-সভাপতি (প্রশাসন) শোয়েব আহমেদ মাসুদ, সহ-সভাপতি (অর্থ) মুশফিকুর রহমান।

সৈয়দ আলমাস কবীর বলেন, “বেসিস ন্যাশনাল আইসিটি অ্যাওয়ার্ডসের মাধ্যমে আমরা সারা দেশের উদ্ভাবনী এবং সম্ভাবনাময় তথ্যপ্রযুক্তি প্রকল্পগুলোকে বাছাই করি। তাদের উৎসাহ দিতে পুরস্কার দিই।

“বিভিন্ন ক্যাটাগরির প্রকল্পগুলো আমাদের তথ্যপ্রযুক্তি খাতের বিস্তৃত সম্ভাবনাগুলোই তুলে ধরছে। মনোনীত প্রকল্পগুলো অ্যাপিকটা অ্যাওয়ার্ডে বাংলাদেশের তথ্যপ্রযুক্তি খাতের সক্ষমতাও তুলে ধরছে।”