অ্যাপভিত্তিক গাড়ি সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানটির পেটেন্টে বলা হয়, গ্রাহক সাধারণত যেভাবে উবার অ্যাপ ব্যবহার করেন তা শিখবে এই প্রযুক্তি এবং এর থেকে গ্রাহকের অস্বাভাবিক আচরণ শনাক্ত করা হবে। বেশ কিছু দিক বিবেচনা করে কাজ করবে ব্যবস্থাটির অ্যালগরিদম। এর মধ্যে থাকবে টাইপিংয়ের ভুল, গ্রাহক কতোটা নিখুঁতভাবে বাটন এবং লিঙ্কে ক্লিক করছেন, চলার গতি ও রাইড অনুরোধ পাঠাতে তিনি কতো সময় নিচ্ছেন এমন বিষয়গুলো-- খবর প্রযুক্তি সাইট সিনেটের।
পেটেন্টের ব্যাখা দিতে প্রতিবেদনে উদাহরণ হিসেবে বলা হয়, একজন ব্যক্তি যদি শনিবার রাত ১ টায় কোনো রাত্রীকালীন শহরে হাটাহাটি করেন এবং টাইপ করতে ভুল করেন তখন ধারণা করা যেতে পারে তিনি সংযত নন।
উবারের পেটেন্ট আবেদনে আরও বলা হয়, এই প্রযুক্তির ফলে উবারের যাত্রী সেবা পরিবর্তনও হতে পারে। চালককে আগে থেকেই যাত্রীর অবস্থা সম্পর্কে সতর্ক করা হবে। আর অস্বাভাবিক অবস্থায় রয়েছেন এমন যাত্রীর অনুরোধ শুধু সেসব চালকরাই পাবেন যাদের এধরনের অভিজ্ঞতা বা প্রশিক্ষণ রয়েছে।
এছাড়া গ্রাহকের অবস্থা বিবেচনা করে তাকে হয়তো রাইড শেয়ারিংয়ের সুযোগও দেওয়া হবে না। মদ্যপ যাত্রীদেরকে সেবা দেওয়াটা উবার চালকদের জন্য চাকুরির ক্ষেত্রে একটি বাধা হিসেবে দেখা হয়।
সিএনএন-কে দ্য রাইডশেয়ার গাই-এর লেখক হ্যারি ক্যাম্পবেল বলেন, “মদ্যপ যাত্রীদের তোলার জন্য চালকদের যদি বাড়তি মূল্য দেওয়া হয় তবে সেটা দারুণ হবে। এটি বড় কোনো বিষয় নয়, কিন্তু এটি অবশ্যই ২৫তম বারের সময় পুরানো হয়ে যাবে।”
সম্প্রতি সিএনএন-এর এক তদন্তে উঠে আসে, চার বছরে ১০৩ জন উবার চালকের বিরুদ্ধে যাত্রীদেরকে যৌন নীপিড়ন বা হয়রানির অভিযোগ আনা হয়েছে। এর মধ্যে অনেকগুলো পুলিশ প্রতিবেদন এবং আদালতের নথিতে বলা হয়েছে যাত্রী উবারে ওঠার আগে মদ্যপ অবস্থায় ছিলেন বা মদ্যপান করেছিলেন।
পেটেন্ট নিয়ে তাৎক্ষণিক কোনো মন্তব্য করেনি উবার।